খেলা
অপরাজিত থেকেই ফাইনালে বাংলাদেশ
স্পোর্টস রিপোর্টার
৩ আগস্ট ২০২২, বুধবার
অপরাজিত থেকেই সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ। নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের সঙ্গে ড্র করলে তো কথাই ছিল না, এমনকি ৪ গোলের ব্যবধানে হারলেও ফাইনালে চলে যেতো বাংলাদেশ। গতকাল ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে রাউন্ড রবিন লীগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। এতে অপরাজিত থেকেই ফাইনাল নিশ্চিত হয় তানভির হোসেনদের। তবে ম্যাচের ভেতর হাতাহাতিতে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখেন বাংলাদেশের এক খেলোয়াড়। শুক্রবার একই ভেন্যুতে শিরোপার জন্য লড়বে যুবারা। রাউন্ড রবিন লীগে পাঁচ দলের মধ্যে সেরা দল হিসেবেই ফাইনালে গেলো বাংলাদেশ। ৪ ম্যাচে বাংলাদেশের অর্জন ১০ পয়েন্ট। নেপালের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ভালো খেলেও গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। ম্যাচের ৫০ মিনিটে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে দু’দলের খেলোয়াড়রা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। জটলার মধ্যে একে অন্যকে লাথি মারতে থাকেন তারা। ডাগআউট থেকে রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলাররাও এসে যোগ দেন মারামারিতে। পরিস্থিতি ঠান্ডা হওয়ার পর বাংলাদেশের শাহিদুল ইসলামকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি ইমরান হোসেন। দুই হলুদ কার্ডের (লাল কার্ড) কারণে মাঠ ছাড়েন শাহিদুল। ১০ জনের দলে পরিণত হয় লাল সবুজের দল। একই সময়ে নেপালের দিপেশ গুরুংকেও লাল কার্ড দেখিয়ে বের করে দেয়া হয়। ৬৩তম মিনিটে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন পিয়াস আহমেদ নোভা। বক্সের ভেতরে সতীর্থের কাছ থেকে ক্রস পেয়ে দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে নেপালের গোলকিপার ঈশ্বর গুরুংকে বোকা বানান নোভা। টুর্নামেন্টে এটি পিয়াসের তৃতীয় গোল। মিনিট পাঁচেক পর নেপালের নিরঞ্জন মাল্লাহ গোল করলে ম্যাচে সমতা আসে। বাকি সময় আর কোনো গোল না হওয়ায় বাংলাদেশ অপরাজিত থেকে ফাইনালে ওঠে। আসরের শুরুতে শ্রীলঙ্কাকে ১-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে হট ফেভারিট ভারতের বিপক্ষে পায় ২-১ গোলের জয়। তৃতীয় ম্যাচে মালদ্বীপকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেয় পল স্মলির শিষ্যরা। ফাইনালে খেলতে হলে গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে নেপালের প্রয়োজন ছিল বড় জয়। শুরু থেকেই তারা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল। সাধারণত এমন ম্যাচে দাঁতে দাঁত কামড়ে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে থাকে বাংলাদেশ। তবে কাল রক্ষণাত্মক দেখা যায়নি বাংলাদেশকে। হালকা চোট থাকায় বিশ্রামে রাখা হয়েছিল আগের ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা মিরাজুল ইসলামকে। এ ছাড়া চোট থাকায় বিশ্রামে রাখা হয়েছিল নিয়মিত রাইটব্যাক শাহিন মিয়াকে।