খেলা
এ যেন ‘ক্যাচ ফেলার’ বিপিএল
স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৩ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার
২৮তম ম্যাচের ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বল। দুর্দান্ত রাজশাহীর পেসার মোহর শেখকে উড়িয়ে মারলেন চিটাগং কিংসের অধিনায়ক নাঈম শেখ। বাউন্ডারি লাইনে ‘এক কাপ চা খাওয়ার’ সময় পেয়েও সেই বল হাতে জমাতে পারলেন না ফিল্ডার ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি। হাতে জমানো অবশ্য অনেক দূরের, তিনি বলে হাতই লাগাতে পারেননি! শুধু রাব্বি নন, এই বিপিএলে এমন হাস্যকর ক্যাচ মিসের ঘটনা আছে অনেক। প্রায় ম্যাচেই মুড়িমুড়কির মতো ক্যাচ পড়ছে, আর ক্রিকেটাররা দেখাচ্ছেন এসব ক্যাচও মিস করা যায়। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ১৮তম ম্যাচে লিটনের ক্যাচ ছাড়েন রাজশাহীর উইকেটরক্ষক আকবর আলী। ওই সময়ে ৩ বলে ৫ রানে থাকা লিটন পরে খেলেন ৫৫ বলে ১২৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। একই ম্যাচে ২০ বলে ৩২ রানে ব্যাটিং করা তানজীদ হাসান তামিমের ক্যাচ ফেলেন রায়ান বার্ল। এরপরে এই বাঁহাতি ব্যাটার করেন ৬৪ বলে ১০৮ রান। এছাড়া ৯৯ রানে থাকা অবস্থায় রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের ক্যাচ ফেলেন খুলনা টাইগার্সের পাকিস্তানি ফিল্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজ। পরে দলকে জেতাতে না পারলেও সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিজয়। বিপিএলে মঙ্গলবার পর্যন্ত হয়েছে ২৮ ম্যাচ। যেখানে সবমিলিয়ে ক্যাচ পড়েছে ৬০টি। অর্থাৎ ম্যাচ প্রতি ক্যাচ পড়েছে ২.১৪টি। এর মধ্যেওও আবার ৬টি ম্যাচে অফিশিয়ালি কোনো ক্যাচ পড়েনি। অর্থাৎ এই ৬ ম্যাচ বাদ দিলে ম্যাচ প্রতি ক্যাচ পড়েছে ২.৭২টি। সবচেয়ে বেশি ক্যাচ পড়েছে সিলেট পর্বে। সেখানে ১২ ম্যাচে ২৩বার ক্যাচ ফেলেছেন ফিল্ডাররা। আর চট্টগ্রাম পর্বে ০৮ ম্যাচে ক্যাচ ফেলার সংখ্যাটা ২০টি। ঢাকায় প্রথম পর্বে ৮ ম্যাচে পড়েছে ১৮টি ক্যাচ। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ফেলেছে দুর্বার রাজশাহী। পারিশ্রমিক ইস্যুতে বিতর্কের জন্ম দেওয়া দলটির ফিল্ডারদের হাত যেন পৃথিবীর সবচেয়ে পিচ্ছিল পদার্থ। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, জিসান আলম থেকে শুরু করে বিজয়, বার্ল সবাই যেন নেমেছেন ক্যাচ মিসের প্রতিযোগিতায়। এর মধ্যে কয়েকটি ক্যাচ ফেলা ছিল রীতিমতো দৃষ্টিকটু। যেমন ২৬তম ম্যাচে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তাসকিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে উপরে তুলে দেন খুলনার নাঈম শেখ। বল লং অফে সোজা উপরে উঠে যায়, কয়েক সেকেন্ড সময় পেলেও
বলে হাতই লাগাতে পারেননি মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। এই ক্যাচ মিস দেখে যে কারও হাসি তো আসবেই, সন্দেহও হতে পারে আদৌ মিস নাকি ছেড়ে দেওয়া! চিটাগং কিংস আর খুলনা টাইগার্স দুই দলই ছেড়েছে সমান ১০টি করে ক্যাচ। শেষ ম্যাচে রাজশাহীর ওপেনার মোহাম্মদ হারিস টানা দুই বলে ক্যাচ দেন শর্ট লং অফে, দুবারই ধরতে ব্যর্থ হন চিটাগংয়ের ফিল্ডার সৈয়দ খালেদ আহমেদ। সিলেট স্ট্রাইকার্স আর ঢাকা ক্যাপিটালসও ছেড়েছে সমান ৭টি করে ক্যাচ। টেবিল টপার রংপুর রাইডার্সের ফিল্ডারদের হাত থেকে পড়েছে ৪টি ক্যাচ। টেবিলের দুই নম্বর দল ফরচুন বরিশালের ফিল্ডাররাও ফেলেছেন সমান ৪টি ক্যাচ।