রাজনীতি
'রাষ্ট্র পরিচালকরা দুর্নীতি করে আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হয়েছেন'
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ২:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:১৬ অপরাহ্ন

৫৩ বছরের রাষ্ট্র পরিচালকরা দুর্নীতি করে আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। শনিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রেজাউল করীম বলেন, অতীতের রাষ্ট্র পরিচালকরা ‘উচ্চশিক্ষিত’ হওয়ার পরেও তারা প্রমাণ করতে পারেনি তারা নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত। এজন্য ৫৩ বছরের রাষ্ট্র পরিচালকরা দুর্নীতি করে আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হয়েছেন। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষকরা আদর্শ নাগরিক গড়ার কারিগর। এই মানুষ গড়ার কারিগরদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কাজ করছে। প্রত্যেক মুসলিম সন্তান যাতে দ্বীনি শিক্ষা অর্জন করতে পারে এ জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান তিনি।
চরমোনাই পীর বলেন, বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতিকে সুন্দর একটি দেশ উপহার দিতে চাই। এজন্য দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।
এসময় ২০২৩-২৪ সেশনের কমিটি বিলুপ্ত করে অধ্যাপক নাছির উদ্দিন খানকে সভাপতি, মাওলানা এ বি এম জাকারিয়াকে সহ-সভাপতি ও প্রভাষক আবদুস সবুরকে সেক্রেটারি জেনারেল করে ২০২৫-২০২৬ সেশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন চরমোনাই পীর।
কাউন্সিলে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাসহ সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণসহ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১৫ দফা দাবি জানান জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান।
জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাষক আবদুস সবুরের পরিচালনায় কাউন্সিলে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, মোকামিয়ার পীর সাহেব মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক ড. আরিফুল ইসলাম অপু, ড. কামরুল আহসান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শহিদুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুল মোমিন প্রমুখ।