বাংলারজমিন
বশেমুরকৃবি’তে বাঁধনের কর্মশালা
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
১২ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবার‘ডোনেট ব্লাড সেভ লাইফ’ শিরোনামকে ধারণ করে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরকৃবি) দক্ষ বাঁধনকর্মী তৈরি, বাঁধন কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধকরণসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাঁধনের বিভাগীয় জোন-১ এর আয়োজনে এবং বশেমুরকৃবি বাঁধনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ কর্মশালা শনিবার বশেমুরকৃবি’র বেগম সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। আঞ্চলিক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন বাঁধনের বিভাগীয় জোন-১ এর আওতাধীন ১০টি ইউনিটের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বশেমুরকৃবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ এবং পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাঁধনের বিভাগীয় জোন-১ এর আহ্বায়ক আশিক আল মেহেদী হৃদয় এবং সঞ্চালনা করেন বাঁধনের বিভাগীয় জোন-১ এর সদস্য সচিব শেখ সাইফুল্লাহ। আঞ্চলিক এ কর্মশালায় কী-নোট স্পিকার ছিলেন বশেমুরকৃবি’র মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ আল মেহেদী হাসান। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাঁধন কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি মো. গোলাম গাজী এবং উপদেষ্টা মেহেদী হাসান। কর্মশালার শুরুতে ভাইস-চ্যান্সেলর বাঁধন, বশেমুরকৃবি শাখার কক্ষ শুভ উদ্বোধন করেন। পরে বেগম সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর বাঁধনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
বাঁধনের কেন্দ্রীয় শাখার সভাপতি মো. শামীম গাজী বলেন, রক্তের জন্য সর্বস্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি ও রক্তদানের উপকারিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে দক্ষ কর্মী তৈরির নিরিখে আজকের কর্মশালা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। অন্যদিকে বাঁধন, বশেমুরকৃবি শাখার সভাপতি মো. শফিকুল আলম বলেন, আমরা চাই বাঁধনের মানবিক ছোঁয়া সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ুক। আজকের আঞ্চলিক কর্মশালাটি আমাদের বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করবে ফলে বশেমুরকৃবি বাঁধন বৃহত্তর পরিসরে কাজ করে রক্তদান সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত করতে সক্ষম হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ২৪শে অক্টোবর বাঁধনের প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে এপর্যন্ত দেশের ৫৫ জেলার ৮৭’র অধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২টি জোনে এবং ১৪২টির অধিক ইউনিটের মাধ্যমে সারা দেশে রক্তদান ও বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।