বিশ্বজমিন
গোটাবাইয়ার দেশে ফেরার উপযুক্ত সময় নয় এখন- প্রেসিডেন্ট রণিল
মানবজমিন ডেস্ক
(২ সপ্তাহ আগে) ১ আগস্ট ২০২২, সোমবার, ৩:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫২ পূর্বাহ্ন

সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসের এখনই দেশে ফেরা উপযুক্ত সময় নয় বলে মন্তব্য করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহে। তিনি মনে করেন, গোটাবাইয়া এখনই দেশে ফিরলে আবার রাজনীতিতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। যে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর ক্ষোভের মুখে তিনি দেশ ছেড়েছেন, তারা আবার রাজপথে নেমে আসতে পারে। এ খবর দিয়েছে শ্রীলঙ্কার ডেইলি মিরর।
জনতার রোষে গত ১৩ই জুলাই একটি সামরিক বিমানে করে মালদ্বীপ পালিয়ে যান গোটাবাইয়া রাজাপাকসে। সেখানেও এ খবর প্রকাশ হওয়ার পর বিক্ষোভ শুরু হয়। ফলে মালদ্বীপকে তিনি নিরাপদ ভাবতে পারেননি। একদিন পরেই অর্থাৎ ১৪ই জুলাই তিনি সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান। সেখানে অবস্থান নিয়ে ইমেইলে পদত্যাগ করেন। তবে মঙ্গলবার মন্ত্রীপরিষদের মুখপাত্র বান্দুলা গুনাওয়ার্ধেনা বলেছেন, গোটাবাইয়া রাজাপাকসে আত্মগোপন করেননি। তিনি দেশে ফিরতে চাইছেন।
কিন্তু গোটাবাইয়া রাজাপাকসের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহে।
রোববার যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন। এতে রণিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, শ্রীলঙ্কা ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনঃস্থাপন হলে পরিস্থিতি বদলে যেতে শুরু করবে। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল আইএমএফের কাছ থেকে বেইলআউট নিয়ে সমঝোতা চূড়ান্ত হবে। বর্তমানে রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে এ প্রক্রিয়া অচল হয়ে আছে।
তবু ওই সাক্ষাৎকারে রণিল বিক্রমাসিংহে বলেন, সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে আলো দেখতে পাচ্ছি। সেই আলোর কাছে কত দ্রুত আমরা পৌঁছাতে পারবো বিষয়টি এখন সেটা।
এরই মধ্যে দেশটির জনসাধারণ মুদ্রাস্ফীতির মুখোমুখি হয়েছে। জ্বালানি এবং রান্নার গ্যাসের জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করেছেন এবং করছেন। রণিল বিক্রমাসিংহে স্বীকার করেন, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চোখে পড়ার মতো উন্নতি হতে আরও অনেক মাস সময় লাগবে। প্রেসিডেন্সিয়াল সেক্রেটারিয়েট থেকে তিনি ওই সাক্ষাৎকার দেন। জুলাই মাসে বিক্ষোভকারীরা এই অফিস দখলে নেয়ার পর বুধবার প্রথম সেখানে অফিস করতে যান প্রেসিডেন্ট রণিল।
তিনি আশা প্রকাশ করেন আইএমএফের স্টাফ পর্যায়ের চুক্তি আগস্টের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে। এরপরই তার দেশ সার্বভৌম বন্ডহোল্ডার এবং দ্বিপক্ষীয় ক্রেডিটরদের সঙ্গে আরও আলোচনায় সক্ষম হবে। কোনো তহবিল ছাড় করাতে হলে প্রাথমিক চুক্তিতে আইএমএফের পরিচালনা পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েক মাস সময় লাগে। রণিল বলেন, আমরা এই সহায়তা জুলাই মাসেই পেতাম, যদি দেশের রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকতো।