খেলা
তামিমের বিদায়ে যা বললেন সতীর্থরা
স্পোর্টস ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ১১ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ৩:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
২০২৩ -এ প্রথমবারের মতো অবসরের সিদ্ধান্ত নেন তামিম ইকবাল খান। তবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে দলে ফেরেন দেশসেরা এই ওপেনার। এবার সব জল্পনাকে সত্যি করে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন এই টাইগার ওপেনার। তার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এতদিন একসঙ্গে খেলা সতীর্থরাও।
২০০৭ -এর ফেব্রুয়ারিতে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলার শুরু তামিমের। পরের ১৬ বছরের বেশি সময়ে তার সঙ্গে দেশের হয়ে প্রায় তিনশ’ ম্যাচ খেলেন মুশফিকুর রহীম। তাদের বন্ধুত্বেরর হাতেখড়ি যদিও বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই। বন্ধুর অবসরের ঘোষণা প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক লেখেন, ‘তোর অবসরে আমি শুধু এতটুকু জানাতে চাই, তোর প্রতিটা অর্জনে আমি কতটা গর্বিত, দোস্ত। তুই বাংলাদেশের ক্রিকেটের অসাধারণ একজন দূত ও বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান।’ মুশফিকের কাছে তামিমের সবচেয়ে স্মরণীয় ইনিংস ২০১৮ এশিয়া কাপে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেদিন ওপেনিংয়ে নেমে ম্যাচের শুরুতেই আঙুলের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম। বাংলাদেশ ৯ উইকেট হারিয়ে ফেললে হাতে ব্যান্ডেজ নিয়েই মাঠে নামেন টাইগার ব্যাটার। আরেক প্রান্তে থেকে তার সঙ্গে জুটি বাঁধেন মুশফিক। লাফিয়ে উঠে এক হাতে বল ঠেকিয়ে দেন তামিম। দলের জন্য সেটাই ছিল যথেষ্ট। মুশফিক নিজেও ব্যথা নিয়ে খেলেন ১৪৪ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। এই জুটির কথা মনে করিয়ে মুশফিক লেখেন, ‘দুবাইয়ে আমাদের জুটিটার কথা আমি সবসময় মনে রাখবো, বিশেষ করে তুই যখন ভাঙা আঙুল নিয়ে ব্যাট করলি। এটি দেশের প্রতি তোর নিবেদন ও খেলার প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ দেখায়। অবসরের সিদ্ধান্তে শুভকামনা, দোস্ত। মাঠে তোকে মনে পড়বে। কিন্তু ক্রিকেটে তোর মতো এমন অসাধারণ এক বন্ধু পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ।’ তামিমকে অভিনন্দন জানান আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও সতীর্থ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘দীর্ঘ ও অসাধারণ ক্যারিয়ারে দারুণ সব অর্জনের জন্য অনেক অভিনন্দন, তামিম। তোমার অর্জন এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি অবদান অনেক।’ জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তামিমেকে দলে চাচ্ছিলেন। গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন তার প্রয়োজনের কথাও। অধিনায়কের কথায় তামিমকে দলে ফেরাতে চাচ্ছিলেন নির্বাচকরা। দেশসেরা ওপেনারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এক আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন শান্ত। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘প্রিয় তামিম ভাই, আপনার সিদ্ধান্তকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। ২০১৬ সালে আবাহনীর হয়ে প্রথমবার আপনার সঙ্গে রুম শেয়ার করি। সেখান থেকে শুরু করে জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলার সুযোগ হয়েছে। আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আপনার ক্রিকেটীয় মেধা, সতীর্থদের প্রতি যত্নশীলতা ও উদারতা আমাকে বারবার মুগ্ধ করেছে।’ তিনি আরও লেখেন, ‘ড্রেসিং রুমে এবং ২২ গজে আপনাকে মিস করবো। এমন একজন কিংবদন্তি ব্যাটারের সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগ করে নেয়া ও জাতীয় দলে খেলায় আমি গর্বিত।’ হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকের দিন তামিমের সঙ্গে উদ্বোধনি জুটির সঙ্গী ছিলেন শাহরিয়ার নাফীস। ছোট বার্তায় তামিমের উদ্দেশ্যে নাফীস লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তোমার অবদান বাংলাদেশ সবসময় মনে রাখবে... তামিম ইকবাল।’ ক্যারিয়ারের বড় একটা অংশে উদ্বোধনী জুটি হিসাবে তামিমকে পেয়েছেন সৌম্য সরকার। তিনি লেখেন, ‘নতুন শুরু ও আজীবন মনে রাখার মতো স্মৃতির জন্য শুভকামনা। অবসরই শেষ নয়। নতুন অধ্যায়ের সূচনা মাত্র। সময়টা উপভোগ করুণ। অবসরের জন্য শুভকামনা ভাই। মাঠে আপনাকে মনে পড়বে।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তামিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দেশের সাবেক ওপেনার ও বর্তমান নির্বাচক হান্নান সরকার। তিনি লেখেন, ‘দুর্দান্ত সব অবদানের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট তোমাকে সবসময় মনে রাখবে। ধ্যনবাদ তামিম ইকবাল খান।’
Hats off salute, our hero. Sorry we Bangladeshis couldn't give the deserved respect. I wish you all the very best in future. Want to see you in cricket in different role