বিশ্বজমিন
পশ্চিমবঙ্গে চিন্ময়ের আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিজেপির নেতৃবৃন্দ
মানবজমিন ডেস্ক
(৫ মাস আগে) ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের সঙ্গে দেখা করেছেন মোদির বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা। রবীন্দ্র ঘোষ বর্তমানে চিকিৎসার জন্য পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরে আত্মীয়দের বাড়িতে রয়েছেন। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আটক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী হিসেবে কাজ করার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ রাজনৈতিকভাবেও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে অতিরঞ্জিত খবর ছড়াচ্ছে ভারতীয় মিডিয়া। এই প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্র ঘোষের বিজেপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ উদ্বেগজনক। সাক্ষাতের এ খবর দিয়ে দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন বলছে, বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচের সভাপতি এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। যিনি চিন্ময়ের আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন। এ সপ্তাহের সোমবার ব্যারাকপুরে পৌঁছান রবীন্দ্র ঘোষ। গণমাধ্যমটি বলছে সেখানে তিনি এআইআইএমএস-কল্যাণী হাসপাতালে গিয়েছেন। তবে ভারতে রবীন্দ্র ঘোষের উপস্থিতির কথা জানতে পেরেই তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং এবং কৌস্তভ বাগচী। তাদের সঙ্গে সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। চিন্ময়ের পক্ষে লড়াইয়ে সংহতি প্রকাশ করেছে বিজেপির নেতারা। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ হচ্ছে, গেরুয়া শিবির ২০২৬ সালের বিধানসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বাংলাদেশ কার্ড খেলছে। ঘোষের সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিজেপি নেতা বাগচী বলেন, চিন্ময়ের পক্ষে কথা বলার জন্য চট্টগ্রাম আদালতের ভেতরে এবং বাইরে উভয় স্থানেই আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ তার মুক্তির দাবিতে অটল ছিলেন। রবীন্দ্র ঘোষের পাশে দাঁড়াতে পারা ভাগ্যের বিষয় বলেও জানিয়েছেন বাগচী। বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা এবং ব্যারাকপুরের সাবেক এমপি অর্জুন সিং ঘোষের দৃঢ়তার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের হিন্দুদের অধিকারের জন্য মাথা উঁচু রেখে লড়াই করার জন্য আমি তাকে স্যালুট জানাই।’ এছাড়া চিন্ময়ের আইনজীবীর সঙ্গে প্রায় আধাঘন্টা কথা বলেছেন সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ। তবে এই সাক্ষাতের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কলকাতার একজন প্রবীণ তৃণমূল নেতা। তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে সুযোগসন্ধানির অভিযোগ করেছেন। গণমাধ্যমকে ঘোষ জানিয়েছেন তিনি একজন মানবাধিকার কর্মী। চিকিৎসার জন্যই সেখানে গিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। ঘোষ বলেছেন, ন্যায়বিচারের দিকেই আমার দৃষ্টি নিবদ্ধ।
পাঠকের মতামত
সে দেশবিরোধী চক্রান্ত করছে ওর নাগরিকত্ব বাতিল করে গ্রেপ্তার করা হোক।
তার পরিবার যদি ভারতের নাগরিক হয় তাহলে তার বাংলাদেশে নাগরিকত্ব অবৈধ। এভাবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে সে "র" এর গোপন কাজ করতো কিনা তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
সে দেশবিরোধী চক্রান্ত করছে ওর নাগরিকত্ব বাতিল করে গ্রেপ্তার করা হোক।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষকে আইনের আওতায় আনা হলে অনেকের থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়বে।
অই বেটারে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করা হোক
চিন্ময়কে নিয়ে সাম্প্রদায়িক ভারতের এত আগ্রহ কেনো? চিন্ময় কি ভারতের নাগরিক? ভারতের নাগরিক হলে তাঁকে ভারতে চালান করে দেয়া হোক। আর বাংলাদেশের নাগরিক হলে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের রহস্য উদ্ঘাটনে তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জেরা করা উচিত। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে কেউ দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে তাঁকে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নাই। ভারতের এইসব ভণ্ডামিতে নুন্ন্যতম মাথা নত করার সুযোগ নাই।
এরা ভারতীয়দের দালাল, এরা থাকে বাংলাদেশে আর কাজ করে ইন্ডিয়ান "র" এর এজেন্ট হয়ে,এই সমস্ত দালাল দের যত তারাতারি সম্ভব আইনের আওতায় আনা হউক।
এই আইনজীবী কে গ্রেফতার করা হোক। এরা র এর এজেন্ট।
বুঝা যায় কোথা থেকে কলকাঠি নাড়া হচ্ছে।পুতুলনাচের মতো সুতা ঐখানে।এদেশের সনাতনিদের বিপদের মুখে ফেলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিনার চেষ্টা যদি সনাতনি ভাইয়েরা বুঝতে পারেন তাহলেই সবার জন্য মঙ্গল। বরঞ্চ যে সরকার আসবে তাদের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আগামীতে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি বাড়ানো যায় সেই চেষ্টাই সকলে করা উচিত।
এই আইনজীবী রবীন্দ্র বাংলাদেশের নাগরিক হলেও তার ছেলেরা কেন ভারতীয় নাগরিক?? যমুনা তে অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে দেখুন এ বিষয়ে। তাদের বাড়িতে গিয়ে থাকে রবীন্দ্র ভারত গেলে।
দেশের শত্রুদের সঙ্গে বৈঠক করে অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন, সুতরাং দেশে ফেরার সাথে সাথে বিজেপি ঘোষ কে বাংলাদেশের আইনের আওতায় আনতে হবে!
বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে হিন্দুরা শান্তিময় বাংলাদেশকে অশান্ত করে চলছে।