রাজনীতি
জিএম সিরাজ
‘হিন্দু-মুসলমানের বিভক্তি তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ’
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, বগুড়া থেকে
(১ মাস আগে) ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
‘বাংলাদেশ শান্তি ও সম্প্রীতির দেশ। এখানে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে কোনোদিন ভেদাভেদ ছিলো না। দীর্ঘ ১৬ বছরে পলাতক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার হিন্দু মুসলমানের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করেছিলো। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। ফিরে পেয়েছি স্বাধীনতা। এই বাংলাদেশ হবে শান্তি ও সম্প্রীতির’।
বগুড়ার উপজেলা বিএনপি আয়োজিত শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশে এসব কথা বলেন, বগুড়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম মো: সিরাজ।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি শহিদুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কে এম মাহবুবার রহমান হারেজ, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আলহাজ শফিকুল আলম তোতা, উপজেলা জামায়াতের আমীর আলহাজ দবিবুর রহমান, সেক্রেটারী নাজমুল হক, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিমাই ঘোষ, সহ-সভাপতি করুনা রানী ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম কুন্ডু, সাংগঠনিক সম্পাদক বাধন কর্মকার কৃষ্ণ, বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদ শেরপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি সৌমেন্দ্র নাথ ঠাকুর শ্যাম, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ উপজেলা শাখার সভাপতি বরেন্দ্র চন্দ্র সান্যাল, নেতা শুভ অধিকারী, জগন্নাথ মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি প্রকাশ সরকার, আদিবাসি ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা শ্রীকান্ত মাহাতো, হিন্দু মহাজোট শেরপুর উপজেলার সদস্য নিখিল সরকার বক্তব্য রাখেন।
এসময় জিএম সিরাজ আরো বলেন, ‘ভারত আমাদের শত্রু নয়। সেদেশের জনগণ আমাদের শত্রু নয়। মোদি সরকার বাংলাদেশকে নিয়ে মিথ্যা ছড়িয়ে সেদেশের জনগণকে ভুল বোঝাচ্ছে। মোদি নিজেই একটা সন্ত্রাস। ভারতের বাবরী মসজিদ ভেঙে মন্দির নির্মাণ করেছে। ভারতের মুসলমানদের সাথে বৈরি আচরণ করেছে। আমরা এসব নীরবে সহ্য করেছি। আমরা ভারতের জনগণকে এই সমাবেশ থেকে ম্যাসেজ দিতে চাই- বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশে’।
তিনি আরো বলেন, ‘হাসিনা আর মোদির রাজনীতি একই। হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে নানাভাবে বিভক্ত করেছে। এমনকি তার নিজের পরিবারকেও বিভক্ত করেছে। মোদিও ভারতের মানুষকে হাসিনা কায়দায় বিভক্ত করে চলেছে। আগামী নির্বাচনের মোদিকে সেদেশের জনগণ পরজিত করবে’।
গোলাম মো: সিরাজ বাংলাদেশের ভারত নির্ভরতার সম্পর্কে বলেন, ভারত বাংলাদেশে তাদের পণ্য রপ্তানি করে ৯০ ভাগ। আর বাংলাদেশে ভারতে রপ্তানি করে মাত্র ১০ ভাগ। কাজেই আমাদের দেশে ভারতের ব্যবসা বন্ধ হলে ক্ষতির শিকার তারাই হবে।
পিয়াজ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা নিজেরা এখন থেকে পিয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি করবো। ভারত না দিলে বহুদেশ আমাদের মালামাল দেয়ার জন্য উদগ্রিব হয়ে আছে। আমরা অন্য দেশ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস আমদানি করবো’।
তিনি আরো বলেন, দেশের স্বার্থে এই মুহূর্তে ইউনূস সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ আগামী ৫০ বছরে আর ফিরতে পারবে না। কিন্তু ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ভারতে বসে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কাল্পনিক অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। হাসিনা সরকারের পতনের মাধ্যমে দেশকে নতুনভাবে এগিয়ে নেয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। সেসময় স্বার্থান্বেষী ওই মহলটির এহেন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের লোকজনকে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’।
জি এম সিরাজ বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করে চলছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে তার সমাপ্তি ঘটেছে। ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সবাইকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই।’
আমরা বাংলাদেশী ,অত্যন্ত অহংকারের সাথে বলতে পারি ,সাম্প্রদায়িক সম্পৃতিতে আমরাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সুসভ্য জাতি । দুর অতীতে ওএখানে অনায়াসে হিন্দুর ধর্মীয় উৎসবে মুসলিম প্রতিবেশী /বন্ধু নিমন্ত্রিত হয়েছে অনুরুপ মুসলমমানদের অনুষ্ঠানেও ঝলমলে
Thanks for tellig the truth.