রাজনীতি
লন্ডনে মির্জা ফখরুল
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব দলকে একজোট থাকতে হবে
আরিফ মাহফুজ, লন্ডন থেকে
(১ মাস আগে) ৪ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ২:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০১ পূর্বাহ্ন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের আস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে , অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে , রাজনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ,গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্নকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের পরে ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে দেশকে আবার পথে নিয়ে আসার জন্য এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আবার তার দলবল নিয়ে নতুন করে চক্রান্ত শুরু করেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রকে সার্বভৌমত্বকে ভারতের হাতে তুলে দিতে। যে মহিলা এক সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সেই মহিলা ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, সেই মহিলা আজকেও ভারতে বসে দেশের কিভাবে ক্ষতি করা যাবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে কিভাবে বিপন্ন করা যাবে সেই চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। তাই এদের কখনো ক্ষমা করা যায় না। তাই পরিষ্কার কথা শেখ হাসিনাকে গণ হত্যার অপরাধে অবশ্যই দ্রুত বিচার হতে হবে। যারা তাকে সহযোগিতা করেছে তাদেরও বিচার হবে।
ভারত ইস্যুতে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সকল রাজনৈতিক দলকে আহবান জানাই যে, এই বিষয়ে আমরা একমত থাকি একজোট থাকি। আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষায় আমরা একজোট হবো, ঐক্যবদ্ধ হবো।
তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন বিষয়ে মহাসচিব বলেন ,আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে এখানে বেশিদিন রাখতে চাই না,আমরা তাঁকে দেশে নিয়ে যেতে চাই। তাঁর নেতৃত্ব আমাদের এখন খুব প্রয়োজন। দেশের মানুষ তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে, তারেক রহমান আসবেন আর আসলেই আমাদের শক্তি, আন্দোলন, সংগ্রাম অনেক দূরে এগিয়ে যাবে।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এম এ মালিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কয়ছর এম আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এম এ মালিক।
বহি বিশ্বে বাংলাদেশের কোন শত্রু নেই ভারত ছাড়া ! ভারত তার নিজের প্রয়োজনেই বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে সমর্থন দিয়েছিল আবার নিজের প্রয়োজনেই খুনী হাসিনাকে পুতুল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বারবার বিনা ভোটে নির্বাচিত দেখতে চেয়েছে
কুম্ভকর্ণের ঘুম এখনও পুরোপুরি ভাংগেনি। ভারতের চোখে চোখ রেখে যে দল বা যিনি দেশবাসীগনকে সাথে নিয়ে দেশের স্বার্থ, স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে পারবেন বাংলাদেশের আপামর জনগন তাঁকেই নির্বাচিত করবে।