ঢাকা, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯ রজব ১৪৪৬ হিঃ

রাজনীতি

আওয়ামী লীগের পুনর্গঠন, দুই শর্তে আটকে যায় সমঝোতার প্রস্তাব

মানবজমিন ডিজিটাল

(২ মাস আগে) ১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন

৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে আশ্রয় নেন দিল্লি। দলের নেতাকর্মীরাও প্রাণ বাঁচাতে চলে যান আড়ালে। ডাকসাইটে সাবেক মন্ত্রীদের বেশির ভাগ দেশের বাইরে, অনেকেই কারাগারে বা আত্মগোপনে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের কি হবে? দলের হাল কে ধরবেন? যদিও এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না এলেও শেখ হাসিনাই দলের সভানেত্রী হিসেবে দল চালাচ্ছেন। শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকে আলোচনা আছে তাজউদ্দীন আহমদের পরিবার থেকে কেউ দায়িত্ব নিতে পারেন আওয়ামী লীগের। বিশেষত সোহেল তাজের নাম চাউর আছে। তাজউদ্দীন পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, দলের দায়িত্ব নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। করা হয়েছে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ফোন। বলা হয়েছে, পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টের পরে যেভাবে জোহরা তাজউদ্দিন দলের কান্ডারি হয়েছিলেন। এবারো দুঃসময়ে দলের দায়িত্ব নিয়ে পুনর্গঠন করা। কিন্তু আলাপ-আলোচনার একপর্যায়ে তাজউদ্দিন পরিবার থেকে দু’টি শর্তের কথা বলা হয়। এক. যে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাচার হয়েছে তা ফিরিয়ে দেয়া। দুই. জুলাই-আগস্টে নির্বিচারে যে ধরনের নির্যাতন চালানো হয়েছে, মানুষ হত্যা হয়েছে তার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া। এই দুই শর্তে আলোচনা আর এগোয়নি।  

বিস্তারিত পড়ুন ‘জনতার চোখ’-এ

পাঠকের মতামত

ভারত আর আওয়ামী লীগ এক সত্বা! এই শর্ত কি কোন কাজ হবে? হাসিনার ফাঁসি ছাড়া কোন বিচার নাই। এক. যে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাচার হয়েছে তা ফিরিয়ে দেয়া। দুই. জুলাই-আগস্টে নির্বিচারে যে ধরনের নির্যাতন চালানো হয়েছে, মানুষ হত্যা হয়েছে তার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

sk Abdul Malek
১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৬:০৬ অপরাহ্ন

আমার কাছে এইসব ধোকাবাজি মনে হয়। রসুনের সব কোশ এক জায়গায় গিয়েই মিলে। এদের রক্তেই সমস্যা, বাকশাল, ভোটচুরি আর স্বৈরাচারী মনোভাব। রাজনীতি করার অধিকার এরা হারিয়ে ফেলেছে।

miznur rahman
১৮ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৮:১৯ অপরাহ্ন

এসব আয়না বাজী, আয়না ঘরের প্রতিসঠাতা হাসিনা ও তার চেলা পেলা আর এই বাংলায় ঠাই হবে না হতে দেয়া যাবে না। হাসিনা তার জীবন দশায় যদি কোন দিন আবার ফিরে আসার শুজুগ পায় তাহলে সে বাংলাদেশের মানুষ কে রাতের অন্দকারে ব্রাশ ফায়ার করে বঙ্গপোসাগরে ভাসিয়ে দিবে। কারণ তার দরকার এই দেশের ধন দৌলত জনগণ নয়।

Imran
১৬ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৬:১৪ অপরাহ্ন

কথাটি ভালো লাগল। সব দলের নির্বাচনের অংশ গ্রহণ করার মাধ্যমে জাতি ভোট দিয়ে বিচার করবে কোনটা সঠিক কোনটা ভুল।

মোশারেফ হোসেন
১৬ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১২:২৮ অপরাহ্ন

শেখ পরিবার সব সময় তাজ পরিবারের সাথে বেইমানি করেছে। তাজউদ্দিন সাহেব ছিলেন একজন জ্ঞানী এবং বিনয়ী মানুষ কিন্তু স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সাথে একসাথে কাজ করা সম্ভব হয়নি।

Shahjahan
১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ১১:১৭ অপরাহ্ন

Awami league was the same all along their political life. Sheikh Mujib is the root of making Awami League of this kind intolerable nature. This Mujib in the then Pakistan time killed possibly Dy Speaker Shahed Ali beating with Chair. After that Pakistan Gov't fixed all the chairs to the floor with nuts and bolts. In Bangladesh time, he(Mujib ) started political figure killing with Shiraj Sikder. After that he killed thousands using Rakki Bahini. Awami League will remain of this nature in future. They will not change.

Badrul Alam
১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ১১:০৯ অপরাহ্ন

If Sohel Taj wants to be involved in politics, he can form his own party or join another party.

Nam Nai
১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ৯:২৬ অপরাহ্ন

খুব ভাল লাগল সোহেল তাজের কথা। এই শেখের পরিবার তাদের পরিবারকে কখনোই মূল্যায়ন করে নাই।আমি মনে করি এই অভিশপ্ত দলে না গিয়ে নতুন দলে নেতৃত্ব দিলে সোহেল তাজের জন্য সর্বোত্তম হবে।

Enamul Haq
১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ৯:২০ অপরাহ্ন

তাজউদ্দীন পরিবারে সত্যিকারের দেশ প্রেম থাকার কারনে এই পরিবারটি পদে পদে লাঞ্চিত- অবহেলিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের এবং পরিবারের জিবনের ঝুকি নিয়ে তাজ উদ্দিন সাহেব প্রবাসী সরকারের কাণ্ডারী হয়েছিলেন। ৭৫ এর এর ১৫ আগস্টের পর জোহরা তাজউদ্দীন আওয়ামী লীগের হাল ধরে দল ঘুছিয়েছিলেন। কন্তিু বিনিময়ে কি পেলেন। বাংলায় একটা কথার প্রচলন আছে " ব্যাঙ পায়ের নিছে পড়লে বাচার জন্য কত কিছুইনা করে কিন্তু পায়ের নিছ থেকে ছাড়া পেলেই লাফ দিয়ে পায়ের উপর প্রস্রাব করে।" এই হলো আওয়ামী লীগ। তাজউদ্দিন পরিবার থেকে যে দু’টি শর্তের কথা বলা হয়েছে তাতে দেশের স্বার্থ ছাড়া তাজউদ্দিন পরিবারের কোন স্বার্থ নাই।এরই নাম দেশ প্রেম।

Shued Ahmed
১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ৮:৩৬ অপরাহ্ন

আমার কাছে এইসব ধোকাবাজি মনে হয়। রসুনের সব কোশ এক জায়গায় গিয়েই মিলে। এদের রক্তেই সমস্যা, বাকশাল, ভোটচুরি আর স্বৈরাচারী মনোভাব। রাজনীতি করার অধিকার এরা হারিয়ে ফেলেছে।

AA
১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ৮:০০ অপরাহ্ন

এটা স্রেফ ধান্দাবাজি। তাদের কল্পনা থাকুক। জনগণ তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের উচিৎ বিচারের চিন্তার মশগুল থাকা। তাদের পুনর্বাসনের যে কোন ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় জনগন প্রস্তুত আছে।

স্বাধীন বাংলাদেশী
১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ৭:৪১ অপরাহ্ন

গুলি করে কয়েক হাজার মানুষকে মেরে ফেলে হাজার হাজা মানুষকে পঙ্গুতের দিকে ঠেলে দিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেই সব মাপ তাই ন? এটা ফাজলামি না মশকারা?

SAYED
১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ৫:৫২ অপরাহ্ন

No more sheik family in BD politics

Md. Anisur Rahman
১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ৪:৩৩ অপরাহ্ন

Awami League, a consistently proven fascist party (starting with BAKSHAL), cannot have the right to operate in our country. It is high time that our constitution made provision that such anti-democratic parties are deregistered/banned in our country.

A R Islam
১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ৩:৪৯ অপরাহ্ন

আওয়ামী লীগ বিপদে পড়লে তাজউদ্দিন পরিবারের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু ক্ষমতায় গেলে পুরোপুরি ভুলে যায়। এটা শেখ পরিবারের পুরনো চরিত্র।

Abdullah Al Mamun
১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ৩:০৯ অপরাহ্ন

কে কি মনে করবেন জানিনা। শেখের বংশে মানুষ নেই! ১৯৭০ সালে নির্বাচনের আগে বঙ্গবন্ধু(?) শেখ মুজিবুর রহমান চৌমুহনী হেলিপোর্ট মাঠে ভাষণ দিতে গেলেন। আমার বয়স বার কি তের। রিজার্ভ বাস যাবে রায়পুর থেকে। আমাদের এলাকা থেকে রায়পুরের দূরত্ব প্রায় দশ মাইল। হেঁটে চলে গেলাম। শেখ মুজিবুর রহমানকে একনজর দেখার জন্য, তাঁর মুখের কথা শোনার জন্য আমার মতো সারাদেশে কোটি কোটি আবালবৃদ্ধবনিতা আবেগে উদ্বেলিত হয়েছিল। কিন্তু কি পেলাম! একদলীয় বাকশালি অপশাসনের দুর্বিষহ দিনগুলো এখনো তাড়িয়ে বেড়ায়। রক্ষীবাহিনীর নৃশংসতা এখনো আতংকিত করে। সিরাজ সিকদারকে দিয়ে স্বাধীন দেশে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার যাত্রা শুরু করে বাকশালি সরকার। আর, গত দেড় দশকের ইতিহাস সকলের জানা। প্রবাসী সরকারের কাণ্ডারী তাজউদ্দীন আহমদকেও তিরস্কার করা হয়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান 'উই রিভোল্ট' বলে যুদ্ধের শুরুটা না করলে মুক্তিযুদ্ধ হতোনা। '৭৫- এর ১৫ আগস্টের পর জোহরা তাজউদ্দীন আওয়ামী লীগের হাল ধরলেন। দল গোছালেন। তাঁর পরিবার কি পেল! সোহেল তাজ কেন মন্ত্রীত্ব ছাড়লেন? শেখ পরিবার ও তাজ পরিবারের মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান। দুর্নীতি, চুরিচামারি, হত্যা, গুম, আয়নাঘর নৃশংসতা শেখ পরিবারের সঙ্গী। তাজ পরিবারের সঙ্গী হচ্ছে দেশপ্রেম, সততা,ভদ্রতা ও সৌজন্যবোধ। জলে তেলে মিশেনা। শেখ হাসিনার দুঃশাসনের ভার তাজ পরিবারের ওপর দিয়ে হাসিনা ভারমুক্ত হওয়ার কৌশল ধরেছে। তাজ পরিবার বিষয়টি ধরে ফেলেছে। সুতরাং, বিধি বাম।

আবুল কাসেম
১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ৩:০৪ অপরাহ্ন

এটা এক ধরনের ভাওতা বাজি। জনগনকে বোকা বানিয়ে আবার ফিরে আসতে চায়।

আব্দুল আউয়াল
১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ২:৫৬ অপরাহ্ন

টিউব থেকে পেষ্ট একবার বের হলে তা কী আর ভেতরে ঢুকানো যায়.......

Towhidul HASSAN
১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ২:৩৭ অপরাহ্ন

তাজউদ্দীন -পরিবের যোগ্য উত্তরসূরির, যোগ্য-বিবেচনা। এতে তাঁদের দেশপ্রেম এবং রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার প্রমাণ মেলে, যা আমরা প্রতিটি দলের কাছ থেকে প্রত্যাশা করি।

মো: শহীদুল আলম
১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ১:১২ অপরাহ্ন

যদি তা বাস্তব ভিত্তিক কথা হয় তাহলে তাজ পরিবার এর গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। এটাই হওয়া উচিত

Alim uddin
১৫ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

রাজনীতি সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status