খেলা
উপলক্ষ রাঙালেন জাকের-নাসুম
স্পোর্টস ডেস্ক
১০ নভেম্বর ২০২৪, রবিবারআশা জাগানিয়া শুরুর পর ধাক্কা। শেষে দুর্দান্ত ফিনিশ! গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংস এমনই ছিল। তানজীদ হাসান তামিম শুরুতে আগ্রাসী ব্যাটিং করলেও ফেরেন আগেভাগে, সৌম্য সরকারও একই পথের পথিক। মাঝে নাজমুল হোসেন শান্তর দায়িত্বশীলতা বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখালেও তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যর্থতায় শঙ্কা তৈরি হয়। তবে অভিষিক্ত জাকের আলী অনিক ও নাসুম আহমেদের কার্যকরী ক্যামিওতে লড়াকু সংগ্রহ পায় টাইগাররা। একজনের অভিষেক ম্যাচ, আরেকজনের প্রত্যাবর্তন। দুজনেই রাঙিয়ে রাখলেন উপলক্ষটা।
গতকাল শারজায় ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে ২৫২ রান করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়া সৌম্য সরকার ৩৫, জাকের আলী অনিক ৩৭ ও নাসুম আহমেদ করেন ২২ রান। খারাতে ৮ ওভার বোলিং করে ২৮ রানে নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন গজনফর ও রশিদ খান।
এদিন টস ভাগ্য পক্ষে আসায় আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন শান্ত। চোটের কারণে মুশফিকুর রহীম ছিটকে যাওয়ায় অভিষেক হয় জাকের আলী অনিকের। শুরুতে তানজীদ হাসান তামিম চড়াও হন আফগান বোলারদের ওপর। কিন্তু বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৭ বলে ২২ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর শান্ত-সৌম্যের জুটিতে এগিয়ে চলে বাংলাদেশের ইনিংস। প্রথম ১০ ওভারে জমা হয় ৫৯ রান।
সৌম্য শুরুতে অস্বস্তিতে থাকলেও আস্তে আস্তে খোলস ছেড়ে বের হন। মোহাম্মব নবীর বিপক্ষে দারুণ এক ইনসাইড শটে ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর হযরতউল্লাহ ওমরাজাইর বুক সমান বলে হাঁকান বিশাল ছক্কা। যখনই মনে হচ্ছিল তার ব্যাট থেকে বড় ইনিংস আসা সময়ের ব্যাপার, তখনই আউট হন সৌম্য। ১৯তম ওভারে রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। যদিও রিপ্লেতে দেখা গেছে রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন, বল পড়েছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। একই সঙ্গে ভাঙে সোম্য-শান্তের ৭১ রানের জুটি।
এরপর তৃতীয় উইকেটে মেহেদেী হাসান মিরাজকে সঙ্গে শান্ত গড়েন আরও ৫৩ রানের জুটি। ম্যাচের আগে পিচ রিপোর্টে ২৫০ রান লড়াকু বলা হয়। তবে ৩০ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২ রান হওয়ায় বাংলাদেশ শিবিরের চোখ আরও দূরে ছিল। কিন্তু ব্যাটারদের পুরোনো রোগ তাতে পানি ঢেলে দেয়। ৩২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ২ উইকেটে ১৫২ রান থেকে হয়ে যায় ৬ উইকেটে ১৮৪। একে একে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ, হৃদয়, শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১১৯ বলে ৭৬ রান করেন শান্ত। ওয়ানডেতে রিয়াদের ভগ্নদশা যেন কাটছেই না। শেষ চার ম্যাচে তার সংগ্রগ ০,১,২,৩! অথচ ৪ মাস পরই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি!
তবে আচমকা পথ হারানো বাংলাদেশের ইনিংসকে শেষদিকে দিশা দিয়েছেন জাকের ও নাসুম। জাকের অভিষেক ম্যাচ আর নাসুমের জাতীয় দলে প্রায় এক বছর পর প্রত্যাবর্তন। দুজনেই স্মরণীয় করে রাখেন ম্যাচটি। সপ্তম উইকেটে তারা গড়েন ৪১ বলে ৪৬ রানের জুটি। এরপর জাকির তাসকিনকে নিয়ে যোগ করেন আরও ১৪ রান। ১ চার ও ৩ ছয়ে ২৭ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন জাকের। ১ চার ও ২ ছয়ে নাসুম করেন ২৪ বলে ২৫ রান।