দেশ বিদেশ
রাতে কেটে ফেলা হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডিভাইডার
মোক্তার হোসেন, দাউদকান্দি (কুমিল্লা) থেকে
১০ নভেম্বর ২০২৪, রবিবারদাউদকান্দি উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অংশস্থ গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে রাতের আঁধারে কে বা কারা যেন মহাসড়কের মাঝখানে দেয়া ডিভাইডার কেটে ফেলছে, ভেঙে ফেলছে। আর সেই ভাঙা অংশ দিয়েই পারাপার হচ্ছে যাত্রী ও পথচারীরা। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি অংশে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যাও কম নয়। রাতের আঁধারে কেটে ও ভেঙে ফেলা ডিভাইডারের অংশ দিয়ে পার হচ্ছেন অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিসহ ছোট যানবাহন ও পথচারীরা। আর এতে মহাসড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। সঙ্গে বেড়ে চলেছে প্রাণের ঝুঁকিও। মহাসড়কটির দাউদকান্দি উপজেলা অংশে প্রতিনিয়তই ঘটে থাকে নানা দুর্ঘটনা। গত এক বছরে এই মহাসড়ক অংশে দুর্ঘটনায় ঝরে গেছে প্রায় অর্ধশতাধিক প্রাণ। বিগত সরকারের সময় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার বন্ধ থাকলেও আগস্টে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের পর থেকে তা আবার অবাধে চলছে। মহাসড়কের বেশির ভাগ কাটা ডিভাইডার ঢালাই ব্লক এবং আরসিসি দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেয় কুমিল্লা সড়ক বিভাগ। বন্ধ করার পর রাতের আঁধারে সেই ডিভাইডারগুলো আবার ভেঙে ফেলছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। ফলে ভাঙা অংশ দিয়ে সড়ক পারাপার হতে গিয়ে বিভিন্ন সময় ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। দেখা যায়, মহাসড়কের গৌরীপুর অংশে ঢাকামুখী লেনে এবং লোকালের জন্য ডিভাইডারের মাধ্যমে ভাগ করে দেয়া হয়। মাঝখানের সেই ডিভাইডার কেটে তৈরি করা হয়েছে সড়ক পারাপারের ব্যবস্থা। সড়ক বিভাগ এসব কাটা ডিভাইডার মেরামতের মাধ্যমে বন্ধ করে দিলেও কয়েক দিনের মধ্যেই রাতের আঁধারে আবারো সেগুলো কোথাও কেটে ফেলছে, আবার কোথাও সরিয়ে ফেলেছে অজ্ঞাত একটি চক্র। সড়কটির বারপাড়া এবং হাসানপুর কলেজের সামনের অটোরিকশা ও সিএনজি পারাপারের জন্য ডিভাইডারের ব্লকগুলো কারা যেন খুলে ফেলেছে। এসব অংশ দিয়ে ঝুঁঁকি নিয়েই সড়ক পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ফলে সড়কে ঝরে পড়ে তাজাপ্রাণ। জানা যায়, মহাসড়কে চলাচলকারী ছোট পরিবহনগুলো ইউটার্ন করতে গেলে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে ঘুরে আসতে হয়। ফলে অনেকেই নিজেদের প্রয়োজনে রাতের আঁধারে ডিভাইডার কেটে ফেলছেন। অনেকবারই সেসব বন্ধ করেছে কুমিল্লা সড়ক বিভাগ। কিন্তু বন্ধ করার কয়েকদিন পর দেখা যায় ডিভাইডারগুলো আবারো উধাও। কয়েক দিন পর গাড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলেছেন, না হয় রাতে ঢালাই ভেঙে ফেলছেন, আবার কোথাও খুলে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রথমে ছোট গাড়ি পারাপারের রাস্তা করা হলেও তা আস্তে আস্তে ভেঙে বড় হয়। এসব ভাঙা ডিভাইডার দিয়ে পারাপারের সময় বড় গাড়িও না দেখে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে দুর্ঘটনাও বেশি ঘটে। মাঝে মাঝে বন্ধ করে বেশিদিন রক্ষা করা যাচ্ছে না ডিভাইডারগুলোকে। তাই ডিভাইডারের কাটা অংশগুলো ঢালাইয়ের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বন্ধ করা গেলে কেউ আর তা কাটতে পারবে না। এতে কমে আসবে দুর্ঘটনাও। এই বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) দাউদকান্দি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটির ব্যস্ততম স্থান হলো দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড। ঢাকামুখী সরাসরি লেনে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের ওঠানামা করতে ডিভাইডার কেটে ফেলছে বা ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে পথচারী ও যাত্রী পারাপারে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। দুর্ঘটনা রোধে ভাঙা অংশগুলো দ্রুত মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ওবায়েদ বলেন, মাত্র কয়েকদিন হলো আমি দাউদকান্দিতে যোগদান করেছি। তাই খোঁজখবর নিয়ে সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দুর্ঘটনারোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আবু সালেহ বলেন, মহাসড়কটির দাউদকান্দি অংশে দুর্ঘটনা রোধে ডিভাইডারের কাটা অংশগুলো একাধিকবার বন্ধ করা হয়েছে। আর সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করতে ডিভাইডার ও ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও জনসাধারণ সেটা ব্যবহার করছে না, উল্টো তা ভেঙে ফেলছে বা নষ্ট করছে।
সেজন্য এখানে যারা ব্যবহারকারী, জনপ্রতিনিধি, হাইওয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকদের প্রতি তিনি আহ্বান করেছেন যাতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার জন্য জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আপনারা ভূমিকা পালন করেন।
হয়তো এখানে ওভার ব্রিজের খুব বেশি প্রয়োজন। সংশ্লিষ্টজন এটি তদন্ত করুক।
কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম হাটহাজারী রোডে বালু ছাড়ার ওখানে শিউলি পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষ রোড ডিভাইডার কেটে ফেলাছে,