রাজনীতি
অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণ দীর্ঘদিন মানবে না: মির্জা আব্বাস
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৫ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৩:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ অপরাহ্ন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র কাঠামোর কী কী সংস্কার করতে চায় এবং সেটা করতে কতদিন লাগবে, কোনো ছলচাতুরী ছাড়াই তা স্পষ্ট করে অবিলম্বে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। জাতিকে অন্ধকারে রেখে আপনারা যা খুশি তাই করবেন, আমরা তো সেটা মেনে নিতে পারব না। সুতরাং জাতিকে ধোঁয়াশায় রাখবেন না। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন গত ১৬ বছরের বিনা ভোটের সরকারকে মানেনি, এখন এই সরকারকেও দীর্ঘদিন মানবে না।’
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম ও প্রজন্ম একাডেমির যৌথ উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সাবুর ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকে দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে। সামনে আরো ঘোলাটে হতে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, এই সরকার অবশ্যই জাতিকে একটা আশার আলো দেখাবে। তবে আপনারা এমন কিছু করবেন না, যাতে জাতি আপনাদের ওপর থেকে বিশ্বাস হারায়।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সংস্কারের কোনো লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। নির্বাচন নিয়ে আপনারা কোনো কথা বলছেন না। আমরা নির্বাচনের কথা বললেই আপনারা বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমরা উদগ্রীব হয়ে পড়েছি। এখন আমরা যদি বলি, আপনারা নির্বাচনের কথা না বলে ক্ষমতায় থাকার জন্য পাগল হয়ে গেছেন। সুতরাং কোনো রকম ছলচাতুরী করবেন না। জাতিকে ধোঁয়াশায় রাখবেন, তারা তামাশা দেখবে-এমনটা হবে না।’
আব্বাস বলেন, ‘সংবিধান সংশোধন করার আপনারা কে? পার্লামেন্ট ছাড়াই সংবিধান সংশোধন করে ফেলবেন? মনে রাখতে হবে, সংবিধান কোনো রাফ খাতা নয় যে, যা খুশি তাই করবেন। সংবিধান সংশোধন কিংবা পুনর্লিখন করতে হলে, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছেন, যারা স্টেকহোল্ডার রয়েছেন-তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘তিন মাস হলো অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু এখনো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আমাদের মামলাগুলো প্রত্যাহার হয়নি। অথচ আপনারা একটা অর্ডিন্যান্স জারি করে ২০০৭ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন পর্যন্ত বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। কিন্তু সেটা করছেন না। হয়তো করবেন অথবা করবেন না।’
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘আগে আমরা কারাগারেই থাকতাম, মাঝে-মধ্যে কারাগার থেকে বের হতাম। কারাগার ছিল আমাদের আবাসিক ঠিকানা। গত ১৬ বছরে আমাদের উপর ভয়াবহ অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হয়েছে। সরকারকে বলবো, আমাদেরকে-জনগণকে শান্তি দিন, স্বস্তি দিন। অবিলম্বে রোডম্যাপ ঘোষণা করুন।’
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দেশে বর্তমানে একটা ধোঁয়াশাচ্ছন্ন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই সরকার বেশি সময় থাকবে, না যথাসময়ে দায়িত্ব পালন করে চলে যাবে-বুঝতে পারছি না। আপনারা আমাদের সহযোগিতা চান কি-না, সেটাও বুঝতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল, তাদের রক্তের ফসল। এই সরকারের কাছে দেশবাসীর প্রত্যাশা, তারা নির্বাচনমুখী প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। সরকার এই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে, ইতিহাসে তারা উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন, জ্বলজ্বল করবে তাদের নাম। এর ব্যত্যয় ঘটলে দেশটা ধ্বংসের দিকে যেতে পারে। তাই এই সরকারকে ব্যর্থ হওয়া যাবে না।’
অনুষ্ঠানে আলোচ্য বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন। প্রজন্ম একাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজীর সভাপতিত্বে ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সিনিয়র সহসভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম কলিমের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ ও কেন্দ্রীয় সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।
Sorry, we are eagerly waiting to see free and fair elections but reforms first.
Abbas saheb solo bachorto kichui karte paren nai. ahkon mukhe khai futche na?
বিএনপি কে তো 1 দিন ও মানি না
আব্বাস সাহেব দিল্লী বহুদূর! আমরা এই সরকারের সাথে আছি। ১৬ বছরে ফ্যাসিস্টদের আপনারা কিছুই করতে পারেন নাই। আপনাদের নতজানু মনোভাব সবাই জানে।
রাজনৈতিক দলের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সরকার গঠন করে নিজস্ব নীতি বাস্তবায়ন করা। বি এন পি একটি রাজনৈতিক দল। আব্বাস সাহেবের দাবি খুবই যৌক্তিক। এটা নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করা সমীচীন নয়। এনজিওয়ালারা নির্বাচনে ভয় পায় কেন?
“অন্তর্বর্তী সরকারকে দীর্ঘদিন জনগণ মানবে না” জনাব মির্জা আব্বাস কিংবা বিএনপির এই কথাটির সাথে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। কেননা জনগণ আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এর মতো শাসন আর দেখতে চায় না। মির্জা আব্বাস বা বিএনপির নেতৃত্বের কাছে আমার জিজ্ঞাসা “আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দীর্ঘ শাসনামলকে কিভাবে এতোদিন মেনে নিলেন ? আর ছাত্রজনতার আন্দোলনের পর যে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে তাদেরকে ৩মাসও মানতে রাজী হচ্ছেন না, কিন্তু কেন?
এ দেশ নতুন করে আপনাদের কাছে বর্গা দেবার জন্য এত ছাত্র-জনতা জীবন দেয় নাই। আর দশজন সাধারণ জনতার মত ধৈর্য ধরুন।
কোন জনগণ মানবে না!?! আমি মানবো, আমার মতো আরও প্রচুর মানুষ মানবে।
মানবে........
প্রতিদিন আপনাদের মুখের ভাষার কারনে হাজার হাজার ভোট কমছে। ১৮ বছরেও আপনারা কিছুই শিখলেন না... মানুষ আপনাদের কারনেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মাঠে নামে নাই এতগুলো বছর... তারা ধরেই নিয়েছিলো লীগ আর বিএনপির ভেতর তেমন পার্থক্য নাই। এত বছর পর সেটা আবার মানুষের কাছে প্রমাণ করে দিলেন! আপনারা যে এখন রাজনীতি করতে পারছেন সেজন্য কৃতজ্ঞ থাকেন। হাজার হাজার কিশোর তরুণ আপনাদেরকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য রক্ত দেয়নি!
আব্বাস সাহেব ষোল বছর অপেক্ষা করলেন আর ষোল মাস সহ্য হচ্ছে না ।