বিশ্বজমিন
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ‘সক্রিয় হুমকি রাশিয়া’: মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ৫ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:০১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট চলাকালীন রাশিয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। ইউএস ইন্টেলিজেন্স কমিউনিটি (আইসি) জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে জনগণের আস্থা কমাতে ‘সবচেয়ে সক্রিয় হুমকি’ হয়ে দাঁড়াতে পারে রাশিয়ার বিভ্রান্তিকর তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স, দ্য ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, দ্য সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দারা ভোটের ক্ষেত্রে বিদেশি শক্তিগুলোর উপর কড়া নজর রাখছে। বিশেষ করে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের উপর বেশ তৎপর রয়েছে মার্কিন গোয়েন্দারা। এ খবর দিয়েছে নিউজ উইক।
এতে বলা হয়, মার্কিন ইন্টেলিজেন্স কমিউনিটির বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, নির্বাচনের দিন এবং এরপরেও আরও এক সপ্তাহ পর্যন্ত তৎপরতা চালানোর চেষ্টা করতে পারে রাশিয়া। বিশেষ সুইং স্টেটগুলোতে তারা প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে সক্রিয় হুমকি হচ্ছে রাশিয়া। বিশেষ করে মস্কোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনফ্লুয়েন্স অভিনেতারা ভিডিও তৈরি করছে এবং নির্বাচনের বৈধতা ক্ষুণ্ন করার জন্য ফাঁদ তৈরির চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভোটারদের মধ্যে ভীতি জাগিয়ে তুলছে এবং পরামর্শ দিচ্ছে যে আমেরিকানরা রাজনৈতিকভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে সহিংসতা ব্যবহার করছে। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে এমনটাই মনে করছে মার্কিন গোয়েন্দারা।
নির্বাচনের চূড়ান্ত লড়াই শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে এমন তথ্য দিল মার্কিন গোয়েন্দারা। গত সপ্তাহে অনলাইনে প্রচারিত ভিডিওগুলোতে ভোট জালিয়াতির মিথ্যা তথ্য চিত্রিত করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ মার্কিন গোয়েন্দাদের। একটি ভিডিওতে হাইতিয়ান এক অভিবাসীকে দেখানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে ওই অভিবাসী জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে একাধিক ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। তবে মার্কিন গোয়েন্দারা বলছেন এসব তথ্য ভুয়া। আরেকটি ভিডিওতে কমালা হ্যারিস এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তারা উভয়ই এসব কাজের জন্য একজনের কাছ থেকে ৫ লাখ ডলার ঘুষ নিয়েছেন। এ তথ্যটিকেও বিভ্রান্তিকর এবং ভুয়া বলে জানিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দারা।
মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি এমন ভুয়া প্রতিটি ভিডিওর পেছনে কাজ করেছে রাশিয়ার ইনফ্লুয়েন্স অভিনেতারা। আর এর পেছনে মস্কোর ইন্ধন রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে ইউএস ইন্টেলিজেন্স কমিউনিটি।