দেশ বিদেশ
এবার সব আদালত প্রাঙ্গণে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধের নির্দেশনা
স্টাফ রিপোর্টার
৩ নভেম্বর ২০২৪, রবিবারএবার সুপ্রিম কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হোটেল, রেস্তরাঁয় তালিকাভুক্ত একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক এবং নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইভাবে দেশের সব অধঃস্তন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল এবং আদালত প্রাঙ্গণের হোটেল, রেস্তরাঁতেও এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব হোটেল, রেস্তরাঁয় প্রস্তাবিত বিকল্প পণ্যসামগ্রী ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পৃথক দু’টি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্লাস্টিক, বিশেষ করে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বেশি ব্যবহার পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এ ধরনের প্লাস্টিকের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করেছে। এর ধারাবাহিকতায় একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বন্ধ করার লক্ষ্যে ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১ এর ৯ বিধির আলোকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে ২৮ আগস্ট সরকার জারি করেছে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তিতে বিকল্প প্রস্তাবও উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে (ক) প্লাস্টিকের ফাইল, ফোল্ডারের পরিবর্তে কাগজ বা পরিবেশবান্ধব অন্যান্য সামগ্রীর তৈরি ফাইল ও ফোল্ডার ব্যবহার করা; (খ) প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে কটন/জুট ফেব্রিকের ব্যাগ ব্যবহার করা; (গ) প্লাস্টিকের পানির বোতলের পরিবর্তে কাঁচের বোতল ও কাঁচের গ্লাস ব্যবহার করা; (ঘ) প্লাস্টিকের ব্যানারের পরিবর্তে কটন ফেব্রিক, জুট ফেব্রিক বা বায়োডিগ্রেডেবল উপাদানে তৈরি ব্যানার ব্যবহার করা; (ঙ) দাওয়াতপত্র, ভিজিটিং কার্ড ও বিভিন্ন ধরনের প্রচারপত্রে প্লাস্টিকের লেমিনেটেড পরিহার করা; (চ) বিভিন্ন সভা- সেমিনারে সরবরাহ করা খাবারের প্যাকেট যেন কাগজের হয়/পরিবেশবান্ধব হয়, সেটি নিশ্চিত করা; (ছ) একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের প্লেট, গ্লাস, কাপ, স্ট্র, কাটলারিসহ সব ধরনের পণ্য পরিহার করা; (জ) প্লাস্টিকের কলমের পরিবর্তে পেনসিল/কাগজের কলম ব্যবহার করা; (ঝ) বার্ষিক প্রতিবেদনসহ সব ধরনের প্রকাশনায় লেমিনেটেড মোড়ক ও প্লাস্টিকের ব্যবহার পরিহার করা এবং (ঞ) ফুলের তোড়াতে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা।
নির্দেশনায় বলা হয়, ১. পরিবেশ দূষণ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে অলোচিত এবং উদ্বেগের বিষয়। বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ, পানিদূষণসহ সার্বিকভাবে পরিবেশ দূষণ আমাদের দেশে তীব্র আকার ধারণ করেছে। বর্তমান সরকার এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন- ১৯৯৫ সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে পরিবেশ দূষণ রোধ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
২. প্লাস্টিকের ব্যাপক ব্যবহারজনিত সৃষ্ট দূষণ বিশেষত: সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সামগ্রী হতে সৃষ্ট দূষণ পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে বিরাজ করছে। এ প্রেক্ষাপটে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং অধঃস্তন দপ্তর/সংস্থাসমূহকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক এর ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা। এ ধারাবাহিকতায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বন্ধ করার লক্ষ্যে ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১’ এর বিধি-৯ এর আলোকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক এর তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে ২৮শে আগস্ট ২০২৪ তারিখ সরকার কর্তৃক জারি করা হয়েছে।
প্লাস্টিকের পিছনে আগে না লেগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের তড়িৎ সমাধানে ভূমিকা রাখলে উত্তম হতো। তারপরও শুভ কামনা। এগুলো অনেক কঠিন কাজ। দেখা যাক। তারপরও বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, এই প্রত্যাশা।
হ্যা। এটি জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে প্রধান ছিল!