দেশ বিদেশ
নিষিদ্ধ দলের নেতাদের ভোটে অযোগ্য ঘোষণার দাবি
স্টাফ রিপোর্টার
৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবারপ্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে দুই মাসের মধ্যে সীমানা পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তি করে গেজেট প্রকাশ, নির্বাচনী ব্যয়সীমা বাড়ানো এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের পদধারীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ঠেকানোর বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)। গতকাল বিকালের দিকে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি’র সঙ্গে বৈঠক করে এনডিএমের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল এসব দাবি-দাওয়া তুলে ধরে। বৈঠক শেষে দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
ববি হাজ্জাজ বলেন, যখন ২৫ লাখ টাকা ব্যয়সীমা করা হয়েছিল, সেই বাজারদর আর এখন নেই। সবকিছুর দাম বেড়েছে। তার ওপর পোস্টার তুলে দিতে চাচ্ছে। তাই ব্যয়সীমা বাড়িয়ে ৪০ লাখ টাকার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া বিলবোর্ডের কথা বলেছে প্রচারের জন্য। বিলবোর্ড ভাড়া করতে হলে ৪০ লাখ টাকার মধ্যেও ব্যয় সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব নয়। নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে এমন দলের বিষয়ে তিনি বলেন, নিবন্ধন স্থগিত থাকা দলের কোনো সদস্যের ভোটে দাঁড়ানোর বিষয়টা যেন অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। নাম লুকিয়ে যেন সেই দলের কোনো নেতা ভোটে না আসতে পারে, তার ব্যবস্থা করার কথা সিইসিকে বলেছি। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ববি হাজ্জাজ বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন যখন বলছি তখন আওয়ামী লীগের কথা বলছি। কেন্দ্র, জেলা বা উপজেলা কমিটিতেও যারা পদে ছিলেন, এমন নেতাদের কথা আমরা বলেছি, যেন তাদের ভোটে অংশ নেয়ার সুযোগ না দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না। যখন আইন পাস হয়, তখন সেটার স্পিরিট মানতে হবে। নিবন্ধন স্থগিতাদেশ যদি না ওঠে, তাহলে তারা ভোটে অংশ নিতে পারবে না।
এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তি করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। আসন পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে জেলার মোট আসন অপরিবর্তিত রাখতে হবে। এক জেলায় অবস্থিত সংসদীয় আসন অন্য জেলায় স্থানান্তর করা যাবে না। যেখানে সম্ভব উপজেলাকে অবিভাজিত রাখতে হবে। আসন পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা, বিভিন্ন আসনের মধ্যে ভোটার সংখ্যার তারতম্য, ভৌগোলিক সীমারেখা এবং যাতায়াত ব্যবস্থা, জনপ্রত্যাশার মতো বিষয়কে প্রাধান্য দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ধরে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সংলাপ আয়োজন করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় নির্বাচনের তফসিল এবং তারিখ ঘোষণা সংক্রান্ত আলোচনা হয়ে থাকলে তা দ্রুত জাতিকে জানাতে হবে।