দেশ বিদেশ
তিন দাবি নিয়ে যমুনায় যাবেন সোহেল তাজ
স্টাফ রিপোর্টার
৩ নভেম্বর ২০২৪, রবিবারজেল হত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দেবেন বলে জানিয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ কথা জানান সোহেল তাজ। তিনি তার ফেসবুকে লেখেন, আগামী ৩রা নভেম্বর কলঙ্কময় জেল হত্যা দিবস। দেখতে দেখতে ৪৯ বছর পার হয়ে গেল অথচ এখন পর্যন্ত জাতির চার বীর যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলাম- আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। এটা মেনে নেয়া যায় না!
এ সময় তিনি তিন দফা দাবিও তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- যেহেতু ১০ই এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে। তাই এ দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে। ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে। জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমার এ তিন দাবি ন্যায্য ও যৌক্তিক এবং এটা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সবার প্রাণের দাবি। সেই লক্ষ্যে আমার পরবর্তী কর্মসূচি হলো- রোববার বিকাল সাড়ে ৩টায় হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের সামনে আমি অবস্থান নেবো এবং পরবর্তীতে পদযাত্রা করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেবো। হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের সামনে থেকে বিকাল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার উদ্দেশ্যে হেঁটে যাত্রা শুরু করবো। এ সমাবেশে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের, বৈষম্যবিরোধী চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে অংশ নেয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রজাতন্ত্র দিবসটা যৌক্তিক মনে হচ্ছে।
গত 16 বছর হাজার হাজার গুম, খুন, অরাজকতা নিয়ে তার কোন বয়ান নেই।
Where were you and your demands in last 16 years?