বাংলারজমিন
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অন্তঃসত্ত্বা তরুণীর মামলা ৬ দিনেও নেয়নি পুলিশ
আশুলিয়া সংবাদদাতা
২৭ অক্টোবর ২০২৪, রবিবারদুই বছর ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা করে বিয়ে না করার অভিযোগ উঠেছে মাসুদ রানা (৩০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত ২০শে অক্টোবর ওই তরুণী ঢাকার আশুলিয়া থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী কোনো প্রতিকার না পেয়ে শনিবার সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার বিবরণ দিয়ে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের ৬ দিন পার হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। তবে ঘটনাস্থল নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় এখনো মামলা রুজু হয়নি বলে জানিয়েছেন অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইদ্রিজ আলী। লিখিত অভিযোগে মাসুদ রানাকে বিবাদী করা হয়। তিনি রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু থানার হোসেনপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। মাসুদ বর্তমানে আশুলিয়া থানাধীন কবিরপুরের আমিন মডেল টাউনের জেবা প্যালেস নামে একটি বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে জামগড়া এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ভুক্তভোগীর বাড়ি পিরোজপুর জেলার সদর উপজেলায়।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইদ্রিজ আলী শনিবার দুপুরে মানবজমিনকে বলেন, ‘ওই তরুণীর সঙ্গে যুবকটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে ওই যুবক তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। আমাদের কাছে ওই তরুণী দাবি করেছেন তিনি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তবে ঘটনাস্থল নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
তিনি জানান, তরুণী চট্টগ্রামে থাকেন। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সেখানে এই ঘটনা ঘটেছে আর ঘটনাস্থল যদি চট্টগ্রামে হয় তাহলে তাকে সেখানেই মামলা করতে হবে। আমরাও এখান থেকে সহযোগিতা করবো। তারপরও দেখি আজ সন্ধ্যায় কি করা যায়।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, প্রায় দুই বছর আগে মাসুদ রানার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে তরুণীর পরিচয় হয়। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন মাসুদ। প্রথমে সাভারে তার মামার বাসায়, এরপর আশুলিয়া ও চট্টগ্রামের একাধিক আবাসিক হোটেলে শারীরিক সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
ওই তরুণী বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মাসুদ রানা আমাকে বাচ্চা নষ্ট করতে চাপ দিতে থাকে। আমাকে মারধরও করে। একপর্যায়ে সে আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। পুলিশও আমাকে কোনো সহযোগিতা করছে না, খালি ঘুরাচ্ছে। আমার চাওয়া একটাই আমার বাচ্চার স্বীকৃতি দিতে হবে।’ ওই তরুণীর অভিযোগ, ‘থানায় অভিযোগ করায় মাসুদ রানার ভাই আমাকে অনবরত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাসুদ রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই তরুণীর সঙ্গে আমার একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে এটা সত্য, তবে টাকার বিনিময়ে সেটা হয়েছে। সে আমার সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি করতে চাইছে, এখন আমি কি করবো।
পাঠকের মতামত
নিজের সম্মতিতেই রাত কাটিয়েছে, শারিরিক সম্পর্ক হয়েছে এটা ধর্ষন হয় কিভাবে? ওই মেয়েরো শাস্তি হওয়া উচিত। সে কেনো বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ালো?
ওই মেয়েরো শাস্তি হওয়া উচিত। সে কেনো বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ালো?
নিজের সম্মতিতেই শারিরিক সম্পর্ক হয়েছে এটা ধর্ষন হয় কিভাবে? এখানে ছেলে মেয়ে উভয়ের দোষ আছে। বিভিন্ন হোটেলে রাত কাটিয়েছে সেটা কি জোর করে শারিরিক সম্পর্ক করা সম্ভব? উভয়ের সম্মতিতেই ঘটেছে। এখনকার মেয়েরা ফেসবুকে প্রেম করে এই ভুল গুলি করে পরে বিপদ ডেকে আনে তাই অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে মেয়ে কোথায় যায় কি করে সেদিকে খবর রাখা তাহলে এরকম অনাকাংখিত ঘটনা এরানো সম্ভব।
ধর্ষণের সংজ্ঞা কি ! এটা কি ধর্ষণ ছিল ?
মিডিয়া এরকম সংবাদগুলোকে এভাবেই উপস্থাপন করে।