প্রথম পাতা
শান্তির নোবেল পেলো পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সংগঠন
মানবজমিন ডেস্ক
১২ অক্টোবর ২০২৪, শনিবারএ বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছে নিহন হিদানকায়ো নামে একটি জাপানি সংস্থা। পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে জাপানের ওই সংস্থাটি এই পুরস্কার পেলো। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বিকাল ৩টায় নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে এ বছরের শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।
নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংস্থাটির আরেকটি নাম হচ্ছে হিবাকুশা। এটি হিরোশিমা এবং নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলায় বেঁচে যাওয়াদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি জাপানি সংস্থা। সংস্থাটি ১৯৪৫ সালের আগস্টে পারমাণবিক বোমা হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে, বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে কাজ করছে। এ ছাড়া সংস্থার সদস্যরা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিপর্যয়মূলক মানবিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। এখন বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারকে অনৈতিক বলে মনে করা হয়। বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে এই মনোভাব এখন ‘পরমাণু ট্যাবু’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
বৃহৎ পরিসরে হিরোশিমা এবং নাগাসাকি থেকে বেঁচে ফেরাদের জন্য হিবাকুশা একটি অনন্য সাক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ঐতিহাসিক সাক্ষীদের ব্যক্তিগত গল্পের উপর ভিত্তি করে, তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে শিক্ষামূলক প্রচারণার ভিত্তিতে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে জরুরি সতর্ক অবস্থান গড়ে তুলছে সংস্থাটি। বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্রবিরোধী অবস্থান জোরালো করার ক্ষেত্রে হিদানকায়োর কর্যক্রম অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। এ ছাড়া সংস্থাটি পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের ফলে দুর্বোধ্য যন্ত্রণা উপলব্ধি করতে সাহায্য করছে।
নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউট এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মোট ২৮৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম নিবন্ধন করেছিল। এরমধ্যে ১৯৭ জন ব্যক্তি। আর প্রতিষ্ঠান ৮৯টি। গত বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইরানের কারাবন্দি মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি। দেশটিতে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে তার লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস ১৯০১ সাল থেকে প্রতি বছর এই পুরস্কার প্রদান করে। সুইডিশ বিজ্ঞানী ও ডিনামাইটের উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর ৫ বছর পর থেকে তার নামে ও রেখে যাওয়া অর্থে এই পুরস্কার দেয়া হয়। প্রতি বছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেয়া হয়। প্রত্যেক ক্ষেত্রে পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীরা একটি স্বর্ণপদক, প্রশংসাপত্রসহ একটি ডিপ্লোমা এবং বর্তমানে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার পান।