দেশ বিদেশ
দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করে জনদুর্ভোগ নিরসনের আহ্বান দক্ষিণ খান ও উত্তরখান বাসিন্দাদের
অনলাইন ডেস্ক
(৩ সপ্তাহ আগে) ১১ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার, ৫:৫০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৫৩ অপরাহ্ন
বিকল্প সড়ক না রেখে একসঙ্গে সকল রাস্তার উন্নয়ন কাজ শুরু করায় চরম ভোগান্তিতে রাজধানীর দক্ষিণ খান ও উত্তরখানের বাসিন্দারা। দীর্ঘ দিন সড়ক খনন করে ফেলে রাখায় বৃষ্টি ও ড্রেনের পানিতে ভোগান্তির চরম সীমায় এই দুই এলাকার ৭টি ওয়ার্ডের মানুষ। জরুরি প্রয়োজনে কোনো রোগীকে হাসপাতালে নেয়ার রাস্তাও নেই সেখানে। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই গর্ভবতী মহিলাদের সন্তান প্রসবের মত মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটেছে দক্ষিণ খান এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত উদ্যেগ নিয়ে কাজ শেষ করার দাবিতে শুক্রবার মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দারা।
মানববন্ধনে দক্ষিণখান ও উত্তরখান সচেতন নাগরিক কমিটির আহবায়ক ইয়াছিন রানা বলেন, ২০১৬ সালে এই এলাকা ঢাকা উত্তর সিটির আওতায় আসার পর থেকে পরিপূর্ণরুপে উন্নয়ন কাজ বন্ধ ছিল। সিটি নির্বাচনের ছয় বছর পরে এসেও এখানের চিত্র বদলায়নি। বৃষ্টি হলেই পুরো এলাকা তলিয়ে যায়, হাটার মত অবস্থা থাকে না। সড়ক খনন নীতিমালা না মেনে সব রাস্তা এক সাথে খনন করায় স্বাভাবিকভাবে মানুষ যাতায়াত করতে পারছে না। অফিস করতে উত্তরা বা বিমানবন্দর যেতে রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়, কয়েক কিলোমিটার রাস্তা হেটে পাড়ি দিতে হয়। ১০ টাকার অটো ভাড়া ৫০ টাকা নেয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক এলাকায় কোনো গাড়িই চলাচলের সুযোগ নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই রিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, গত বুধবার ৯ অক্টোবর দক্ষিণ খান বাজারে ঈদ গাহ মাঠের সামনে একজন গর্ভবতী মহিলা হেটে ক্লিনিকে যাবার সময় রাস্তায় সন্তান প্রসব করেছেন। রোগীদের হাসপাতালে নিতে এই এলাকায় এম্বুলেন্স ঢোকার মত রাস্তা পর্যন্ত নেই।
মানববন্ধনে দক্ষিণখান উত্তরখানের জনগণ পক্ষে ৭টি দাবি তুলে ধরেন ইয়াছিন রানা। দাবিগুলো হল- ১. কাজের গতি যেকোন উপায়ে দ্রুত কাজের গতি বৃদ্ধি করা। ২. জরুরী চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় রাস্তাগুলো অগ্রধিকার ভিত্তিতে লোকবল বৃদ্ধি করে চলাচল উপযোগী করা। ৩. যে সকল রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে সেগুলোর একটি টাইম সিডিউল দিয়ে দিতে হবে, কত দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে এটা জানিয়ে প্রত্যেক রাস্তায় তা লিখে টানিয়ে দিতে হবে।
৪. যে রাস্তার কাজ যে ঠিকাদার পেয়েছে সে ঠিকাদারের প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ঠিকানা যোগাযোগের নাম্বার জানিয়ে দিতে হবে। ৫. রাস্তার কাজের মান নিয়ে সাধারণ জনগণের মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে এই বিষয়ে সঠিক তদারকি করতে হবে।
৬. নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ চলতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার কাজ ভালো মানের উপকরণ দিয়ে করার আদেশ জারি করতে হবে। ৭. কোনো ঠিকাদার যথাযথভাবে কাজ না করলে কিংবা অনুপস্থিত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মানববন্ধনে দক্ষিণ খান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খলিল মোল্লা বলেন, আমাদের দুর্ভোগ ভোগান্তি নিয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের কোনো মাথা ব্যাথা আছে বলে মনে হয় না। না হয় ভোগান্তি নিরসন হচ্ছে না কেনো। সকল রাস্তা একই সময়ে কেটে ফেলা কোন নীতিমালার মধ্যে পড়ে তা জানতে চান তিনি।