বাংলারজমিন
কানাইঘাটে এসআই’র বিরুদ্ধে মামলা পাল্টে দেয়ার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১১ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবারসিলেটের কানাইঘাট থানার এসআই পিযুষ চন্দ্র সিংহের বিরুদ্ধে মামলা পাল্টে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সীমান্তবর্তী থানাকে তিনি চোরাকারবারিদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছেন। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন চোরাকরবারিদের সঙ্গে। এমনকি ভারতীয় পণ্য চোরাচালানে জড়িত এক গডফাদারকে সহযোগিতা করতে গিয়ে ধর্ষণ মামলার তদন্তের ফলাফল পাল্টে দিয়েছেন তিনি। ডিআইজি বরাবরে এমন অভিযোগ করেছেন কানাইঘাটের এরালী গোল গ্রামের আব্দুল মজিদ। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, এসআই পিযুষ চোরাকারবারিদের সহযোগিতা করতে যা যা করণীয় তার সবকিছুই করছেন। চোরাকারবারিদের গডফাদার জকিগঞ্জ থানার সোনাসার গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মাছুম আহমদ ওরফে ছুইছ মাসুমের সহযোগী তিনি। এমনকি মাছুম আহমদের পরামর্শে কানাইঘাট থানার মামলার ফলাফলও তিনি পাল্টে দিয়েছেন। আবেদনকারী আব্দুল মজিদের নাবালক মেয়েকে অপহরণ করে চারমাস আটক রেখে ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণ করে জাবেদ আহমদ। এ ঘটনায় ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি থেকে কানাইঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ পাঠালেও এসআই পিযুষ শুরুতে মামলা এফআইআর করেননি। কারণ জাবেদ আহমদ মাসুমের ডানহাত। পরবর্তীতে অভিযোগকারী পুলিশ সুপার বরাবর এসআই পিযুসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে তিনি মামলা রেকর্ড করেন। কিন্তুু মামলা রেকর্ড করে নানাভাবে বাদীকে হয়রানি করেন এবং মামলা তুলে নিতে পুলিশের এই কর্মকর্তা আসামিদের হয়ে চাপ দেন। বাদী মামলা তুলে না নিলে তিনি ষড়যন্ত্র করে ওসমানী হাসাপাতাল থেকে তার মনের মতো করে প্রতিবেদন তৈরি করে এনে মামলা মিথ্যা বলে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে চোরাকারবারিদের মামলা থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। অথচ তিনি তার ফাইনাল রিপোর্টে স্বীকার করেছেন আসামি জাবেদ ভিকটিমকে বিয়ে করে চারমাস সংসার করেছেন। তবে শারীরিক সম্পর্ক নাকি করেননি এই চার মাসে। পুলিশের এই কর্মকর্তা চোরাকারবারি মাসুমের কাছ থেকে মাসে প্রায় ৪০ লাখ টাকা নিয়ে থাকেন পুলিশের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তাদের নাম করে। আব্দুল মজিদ এসআই পিযুষ চন্দ্র সিংহের বদলির আবেদন করে মামলা পুনরায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।