দেশ বিদেশ
শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু, আজ ষষ্ঠী
স্টাফ রিপোর্টার
৯ অক্টোবর ২০২৪, বুধবারসনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়েছে। আজ মহাষষ্ঠীতে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যদিয়ে পাঁচ দিনের এ উৎসব শুরু হলো। ঢাকের বাদ্য, চণ্ডী ও মন্ত্রপাঠ, কাঁসর ঘণ্টা, শঙ্খ আর উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠবে আজ রাজধানীসহ সারা দেশের ৩২ হাজারের বেশি পূজামণ্ডপ। সকালে বেলগাছ তলে (বিল্ববৃক্ষ) দেবীর সংকল্প ও ‘ত্রিনয়নী’ দুর্গা দেবীর ঘুম ভাঙিয়ে পূজার্চনায় আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে দেবীকে বরণ করা হবে। বৃহস্পতিবার হবে মহাসপ্তমী বিহিতপূজা। এরপর মহাঅষ্টমী, মহানবমী ও বুধবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্যদিয়ে দুর্গোৎসব শেষ হবে। দুর্গাপূজা উদ্যাপনে পাঁচ দিনব্যাপী আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আরতি, প্রসাদ বিতরণ হবে। এ ছাড়া মহাঅষ্টমীর দিনে অন্যতম আকর্ষণ কুমারীপূজা ও বিজয়া দশমীতে শোভাযাত্রার আয়োজন থাকছে। ইতিমধ্যে জাতীয় ঢাকেশ^রী মন্দিরসহ সারা দেশের পূজামণ্ডপগুলোকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে নেয়া হয়েছে কয়েক স্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে সারা দেশের পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এবারের দুর্গাপূজা ঘিরে ব্যাপক তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রতিটি মণ্ডপ ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে নিরাপত্তা বলয়। এ ছাড়া প্রতিটি মণ্ডপে পূজা চলাকালে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, র্যাব এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর কড়া নজরদারি থাকবে। সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে মাঠপর্যায়ে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি চলছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর। যেকোনো গুজব প্রতিরোধে নজর রাখা হচ্ছে সাইবার স্পেসেও। এরপরও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, র্যাবের হেলিকপ্টারসহ স্ট্রাইকিং ফোর্স। গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরগুলোর প্রবেশপথে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। প্রয়োজনে পুরো এলাকা সুইপিং করবে ডগ স্কোয়াড ইউনিট।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন, নিñিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আমরাও প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নিজস্ব নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি। সরকারের পক্ষ থেকে সারা দেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, নৌপুলিশ ও আনসার ইতিমধ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবারের দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এতে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।