আওয়ামী লীগের আরও ২২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৪ঠা আগস্ট গুলিবর্ষণের ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় আসামি হিসেবে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ২২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত দুইদিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে জেলার বিভিন্ন থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মনিরুল হক, ফাজিলপুর ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি বেলায়েত হোসেন, শর্শদী ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাবুল, দাগনভূঞার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের সাবেক শ্রম সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, ছাগলনাইয়া উপজেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক সোহরাব হোসেন শুভ,  ফেনী পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, মধুপুর এলাকার যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন, ফুলগাজীর উত্তর শ্রীপুর এলাকার ছাত্রলীগ কর্মী এয়াকুব ওরফে বাবু, দাগনভূঞার রামনগর ইউনিয়নের রামান্দপুর এলাকার যুবলীগের অর্থ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগের রাতে অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হলেন- সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর হেদায়েত উল্যাহ, মতিগঞ্জ ইউপি মেম্বার আজাদ হোসেন কিরণ, পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন ছুট্টু, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলম মিন্টু, প্রচার সম্পাদক শাহজাহান, বালিগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নুরুল করিম, ফেনী পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান দিদার, ফুলগাজীর আমজাদহাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম মামুন, আমজাদ হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আবুল কালাম, দাগনভূঞার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি নূর নবী, ছাগলনাইয়ার পশ্চিম দেবপুর এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মী রবিউল হক ও একই এলাকার শাহাদাত হোসেন। ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা আরও জানান, গ্রেপ্তার ২২ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপরাপর আসামিদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।