ঢাকা, ১০ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রতিদিন চার-পাঁচটা করে দাবি আসছে

স্টাফ রিপোর্টার

(১ মাস আগে) ৫ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার, ১২:৪৫ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৭ পূর্বাহ্ন

mzamin

প্রতিদিন চার-পাঁচটা করে দাবি আসছে। এতে আমি বিরক্ত হই না। কিন্তু এসব সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান দেয়া সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। শনিবার বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষকদের বেতন অনেক কম। এটা শিক্ষকতায় মনোযোগের অন্তরায়। প্রতিটি পর্যায়ে নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে। বেসকরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দূর-দূরান্তে গিয়ে চাকরি করছেন। এটা পুরোপুরি সমাধান না হলেও আংশিক সমাধানে কাজ করা হবে। অনেক শিক্ষক রয়েছেন যারা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন। শিক্ষকরা বঞ্চিত এটা ঠিক, তেমনি অন্যান্য পেশার মতো তাদেরও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘উন্নত মানব সম্পদ ছাড়া কোনো দেশ উন্নতি করতে পারেনি। আমাদের অপরিকল্পিত শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির নামে শুধু অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার মান উন্নয়ন করা হয়নি। এত বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছি, কিন্তু কর্মসংস্থানের যোগসূত্র তৈরি করিনি। এজন্যই শিক্ষিত বেকার তৈরি হয়েছে। শিক্ষার বৈষম্যই অর্থনৈতিক বৈষম্যর প্রধান কারণ।’

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের জাতীয় শিক্ষানীতি থাকা উচিত। কিন্তু আমরা শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে বিপাকে পড়েছি। সামনের বছরের পাঠ্যপুস্তকে পরিমার্জন অল্প সময়ে করতে হয়েছে। এজন্য হয়ত কিছু ভুল থাকতে পারে, ভবিষ্যতে তা সংশোধন করা হবে। আমরা শিক্ষা সংস্কার নিয়ে কাজ করছি।  শিক্ষা কমিশন অনেক কঠিন কাজ। যারা ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসবে তারাই পূর্ণাঙ্গ কমিশন করবে। আমরা কিছু সংস্কার করবো।’

ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম রাজনীতির নামে শিখেছে দুর্বিতায়ন, দখলদারি। এটাতো আসলে রাজনীতি না।’

বিভিন্ন আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের কারণে ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছিল। ছাত্ররাতো ভোটার। তাদের সুষ্ঠু রাজনীতি চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও নিজস্ব আচরণবিধিও তৈরি করা যেতে পারে।’

এ বছর বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘শিক্ষকের কণ্ঠস্বর: শিক্ষায় একটি নতুন সামাজিক অঙ্গীকার’। দিবসটি উপলক্ষে দেশের ১২ গুণী শিক্ষককে সম্মাননা দেয়া হয়।  

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এস এম এ ফায়েজ ও ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের প্রধান ড. সুজান মারি ভাইজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত

সংযুক্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ চাই।

মো:আবুল কাশেম
৫ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার, ৪:২৫ অপরাহ্ন

টেক্সটবুক ভিত্তিক লেখা পড়ার চেয়ে , বিষয়ভিত্তিক লেখাপড়ার উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত, যা বাস্তবিক জীবন এর ক্ষেত্রে খুব ই গুরুত্বপূর্ণ | শিক্ষকদের বেতন খুব কম ঠিক, কিন্তু সময় উপযুগি, শিক্ষা প্রদান করতে একটা থানায় কয়জন যোগ্য শিক্ষক পাবেন | এখনো প্রতি স্কুলে ১ জন শিক্ষক পাওয়া যায়না, যিনি ভালোভাবে কম্পিউটার অপারেট করতে পরে| প্রতি থানায় একজন শিক্ষক পাওয়া যাবেনা, যিনি গবেষণা করে একটা দৈনিক পাঠ্য তৈরী করতে পারে| আমার মতে প্রতি স্কুলে অন্তত একজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া উচিৎ যার গবেষণা করে দৈনিক পাঠ্য তৈরী করতে পারে, এবং তার গবেষণার জন্য মাসিক বেতনের বাইরে সম্মানী প্রদানের ব্যবস্থা করা | এতে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে এবং সকল যোগ্য শিক্ষকরা পাঠদানে আগ্রহী হবে এবং প্রতিযোগী হয়ে উঠবে নিজের পেশায় |

Mahabubul hoq
৫ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার, ১:৫৯ অপরাহ্ন

টেক্সটবুক ভিত্তিক লেখা পড়ার চেয়ে , বিষয়ভিত্তিক লেখাপড়ার উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত, যা বাস্তবিক জীবন এর ক্ষেত্রে খুব ই গুরুত্বপূর্ণ | শিক্ষকদের বেতন খুব কম ঠিক, কিন্তু সময় উপযুগি, শিক্ষা প্রদান করতে একটা থানায় কয়জন যোগ্য শিক্ষক পাবেন | এখনো প্রতি স্কুলে ১ জন শিক্ষক পাওয়া যায়না, যিনি ভালোভাবে কম্পিউটার অপারেট করতে পরে| প্রতি থানায় একজন শিক্ষক পাওয়া যাবেনা, যিনি গবেষণা করে একটা দৈনিক পাঠ্য তৈরী করতে পারে| আমার মতে প্রতি স্কুলে অন্তত একজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া উচিৎ যার গবেষণা করে দৈনিক পাঠ্য তৈরী করতে পারে, এবং তার গবেষণার জন্য মাসিক বেতনের বাইরে সম্মানী প্রদানের ব্যবস্থা করা | এতে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে এবং সকল যোগ্য শিক্ষকরা পাঠদানে আগ্রহী হবে এবং প্রতিযোগী হয়ে উঠবে নিজের পেশায় |

Mahabubul hoq
৫ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার, ১:৫৭ অপরাহ্ন

শিক্ষকদের চাকরির দিকে না তাকিয়ে প্রজম্মের দিকে তাকান। দক্ষ জনবলের অভাব বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে। শুধুমাত্র ১০০০ নম্বরের জন্য সাবজেক্ট প্রণয়ন না করে বাস্তবসম্মত ও মানসম্মত কারিকুলাম প্রণয়ন করুন।

শহিদ
৫ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার, ১:১৩ অপরাহ্ন

প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক একীভুত করা হোক। সরাসরি প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ না দিয়ে পদোন্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ হলে শিক্ষকদের মধ্যে কর্ম তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষকদের পদোন্তির ক্ষেত্র নেই বললেই চলে। ব্লক পোস্টে কর্মচঞ্চলতা বৃদ্ধি পায় না, স্থবির হয়ে যায়। এসএসসির পর চার বছরের ডিপ্লোমাধারীরা ১০ম গ্রেড প্রাপ্ত হয়। নির্বাচনে তাদের নিয়ন্ত্রণে স্নাতক পাশ শিক্ষকরা কাজ করতে যা সম্পূর্ণ উচ্চ শিক্ষাকে খাটো করার শামীল। শিক্ষকদেরও ১০ম গ্রেডে নিয়োগ দেওয়া হোক।

Azad Abdullah Shahid
৫ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার, ১:০৯ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

১০

মার্কিন নির্বাচন: ইলেকটোরাল কলেজ ভোট/ ট্রাম্প ২৭৭, কমালা ২২৬

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status