বিবিধ
খুলনায় হচ্ছে বিশ্বমানের সংরক্ষণাগার
পচন ছাড়াই ৩ বছর সংরক্ষণ করা যাবে গম
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ৪:৫৪ অপরাহ্ন
খুলনায় আন্তর্জাতিক মানের গম সংরক্ষণের স্টীল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে খাদ্যশস্যের গুণগতমান বজায় রেখে তিন বছর পর্যন্ত গম সংরক্ষণ করা যাবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন। শনিবার সকালে খুলনা মহেশ্বরপাশা আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন স্টীল সাইলোর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, খুলনায় গম সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক মানের স্টীল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে খাদ্যশস্য সংরক্ষণাগারে দীর্ঘ তিন বছর পর্যন্ত গুণগতমান বজায় রেখে সংরক্ষণ করা যাবে। এতে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় গম সংরক্ষণ, লোডিং এবং আনলোডিং করা যাবে। ফলে খাদ্যশস্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। খুলনা ছাড়াও দেশে আরও কয়েকটি অঞ্চলেও একই ধরণের সাইলো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এসময় খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী, আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের ম্যানেজার প্রকৌশলী ওমর ফারুক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তাজুল ইসলামসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ সহযোগিতায় আধুনিক গমের সংরক্ষণাগারটি নির্মিত হচ্ছে। হাতের স্পর্শ ছাড়াই প্রযুক্তি মেশিনদ্বারা সম্পূর্ণ এই স্টীল গমের সাইলোর ধারণ ক্ষমতা ৭৬ হাজার দুইশত মেট্রিক টন। এ প্রকল্পের ৬টি স্টীল চুল্লির প্রতিটির ধারণ ক্ষমতা ১২ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ কাজ করেছে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপ। আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, এই প্রজেক্টের ঠিকাদার হিসেবে জয়েন্ট ভেঞ্চারে কাজ করেছে বাংলাদেশি কোম্পানি ম্যাক্স গ্রুপ ও তুর্কি কোম্পানি আল তুনতাস। এই প্রজেক্টে আল তুনতাস স্টিল সরবরাহ করেছে। প্রজেক্টের ৭৫ শতাংশ কাজ দেশীয় দক্ষ জনবল ও তার নিজস্ব ইকুইপমেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে করেছে ম্যাক্স। আন্তর্জাতিক মানের এ যেটির ৯০ শতাংশ মেটারিয়াল জার্মান, ইউএসএ, তুরস্ক, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আনা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পে ব্যবহার করা প্রতিটি মেটারিয়ালসের মান যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট এবং খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কুয়েট।
তিনি আরও বলেন, সংরক্ষণাগারে এক সঙ্গে ৭৬ হাজার ২০০ মেট্রিক টন গম সংরক্ষণ করা যাবে। যা তিন বছর পর্যন্ত এই গুদামে রাখা যাবে। উল্লেখ্য, তিনশত ৫৫ কোটি ৯১ লাখ সাত হাজার তিনশত ৮৯ টাকা ব্যয়ে আধুনিক স্টীল সাইলোর নির্মাণ কাজ ডিসেম্বর-২০২৪ এ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।