বিবিধ
এয়ারলাইন্স জিএসএ ফোরামের যাত্রা শুরু
স্টাফ রিপোর্টার
(৬ দিন আগে) ২৬ মে ২০২৫, সোমবার, ৬:৫৬ অপরাহ্ন

বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করা এয়ারলাইন্সগুলোর জিএসএদের (জেনারেল সেলস এজেন্ট) নতুন একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে। রোববার রাতে ঢাকার বনানীর একটি হোটেলে ‘এয়ারলাইন্স জিএসএ ফোরাম’ নামের এ সংগঠনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। তবে নবগঠিত ফোরামের কোনো কমিটি এখনো ঘোষণা করা হয়নি। অনুষ্ঠানে এয়ারলাইন্স জিএসএ ফোরাম জানায়, বাংলাদেশে বর্তমানে ৭০টির বেশি বিদেশি এয়ারলাইন্স এ দেশীয় জিএসএর মাধ্যমে ব্যবসা করছে। প্রাথমিকভাবে নবগঠিত এই ফোরামের সদস্য হয়েছে ২৮টি জিএসএ কোম্পানি, যারা ৫০টির বেশি বিদেশি এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিত্ব করছে। ফোরামের উদ্যোক্তারা আশা করছেন, সামনের দিনগুলোতে বাকি জিএসএ কোম্পানিগুলোও এ ফোরামের সদস্য হবে।
ফোরাম জানায়, জিএসএ কোম্পানিগুলো এয়ারলাইন্সের নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীদের সেবা দিয়ে থাকে। এয়ারলাইন্সের নির্দেশিকা, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর এবং শর্তাবলি অনুসারে টিকেটিং, রিজার্ভেশনসহ গ্রাহকদের অন্যান্য সেবা দেয়। তারা এয়ারলাইন্সের পক্ষে এই ব্যবসার অংশীজন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। আর্থিক ও রেগুলেটরি প্রতিবেদন তৈরি এবং এয়ারলাইন্সের আয় বৈদেশিক মুদ্রায় তাদের মূল কোম্পানির কাছে পাঠাতে সহায়তা করে। এর বাইরে বিমানবন্দরে যাত্রীদের বোর্ডিংয়ে সহায়তা, ব্যাগেজ চেক কার্যক্রম পরিচালনা এবং কার্গো পরিচালনায় সহায়তা করে জিএসএ কোম্পানিগুলো।
ফোরামের উদ্বোধীন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। তিনি তার বক্তব্যে সামনের দিনগুলোতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘিরে এয়ারলাইন্স ব্যবসার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি কার্গোর পরিচালন ব্যয় কমিয়ে শাহজালালকে একটি হাব হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় জানান। স্বাগত বক্তব্যে জিএসএ ফোরামের অন্যতম উদ্যোক্তা আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, জিএসএ কোম্পানিগুলার কারণে স্বাধীনতার পর থেকে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে উৎসাহী ও উদ্যোগী হয়েছে। এভিয়েশন খাত নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিএএস গ্রুপের পরিচালক মুজাক্কের হক। তিনি বলেন, বছরে কমপক্ষে ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রী এবং কমপক্ষে আড়াই লাখ টন কার্গো পরিবহন করছে এই এয়ারলাইন্সগুলো। বাংলাদেশ থেকে ৩০টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে সরাসরি ফ্লাইট চালাচ্ছে তারা। বিমান পরিষেবা ব্যাবসার সাথে ছোট বড় প্রায় ৫ হাজার উদ্যোক্তা জড়িত এবং এই খাতে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় সোয়া লাখ মানুষের।