দেশ বিদেশ
আশুলিয়ায় শিল্পাঞ্চলে উৎপাদন স্বাভাবিক, বন্ধ রয়েছে ২২টি কারখানা
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবারআশুলিয়ায় গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শ্রমিক বিক্ষোভের পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। গতকাল সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় তৈরি পোশাক শ্রমিকরা যথাসময়ে নিজেদের কর্মস্থলে প্রবেশ করে কাজে যোগদান করায় কর্মমুখর হয়ে ওঠে কারখানার পরিবেশ। এদিকে উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় মালিকরাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যথাসময়ে তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তবে এখনো দাবি আদায়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ২২টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। গতকাল সকাল থেকে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার নরসিংহপুর হা-মীম গ্রুপ, নিট এশিয়া, শারমিন গ্রুপ, সরকার মার্কেট এলাকার নেক্সট কালেকশন, বান্দুডিজাইন, বাগবাড়ীর ডেবনিয়ার, জামগড়ার দি-রোজ, পলমল, ছয়তলার এনভয়, নিশ্চিন্তপুরের অনন্ত গার্মেন্টসসহ অধিকাংশ কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। এদিকে অব্যাহত শ্রমিক অসন্তোষের জেরে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১৩ (১) ধারায় ২০টি কারখানা বন্ধ রেখেছেন মালিকপক্ষ। এছাড়া কারখানায় প্রবেশের পর কাজ না করায় আরও ২টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া বাকি সব পোশাক কারখানায় পুরোদমে উৎপাদন শুরু হয়েছে। বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি অরবিন্দ বিন্দু বেপারী বলেন, শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। তবে এখনো শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বন্ধ রয়েছে বেশ কিছু কারখানা। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় কারখানাগুলোতে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাই বন্ধ কারখানাগুলো অবিলম্বে খুলে দিতে আমরা মালিকপক্ষ ও বিজিএমইএ’র কাছে অনুরোধ করেছি। তিনি বলেন, কারখানা বন্ধ রাখা কোনো সমাধান নয়। খুলে দিয়ে মালিকপক্ষের উচিত শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা। এছাড়া কারখানা বন্ধ থাকা নিয়ে নতুন করে যাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয় সেজন্য দ্রুত বন্ধ কারখানাগুলো খুলে দেয়ার দাবি জানান তিনি। আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বৃহস্পতিবার নতুন করে কোনো কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটেনি। তবে ২০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। যেগুলো গত সপ্তাহের বিভিন্ন সময় বন্ধ ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আরও ২টি কারখানায় সাধারণ ছুটি রয়েছে। আমরা বন্ধ কারখানাগুলো খুলে দেয়ার জন্য বিজিএমইএ ও মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি। শনিবারের মধ্যে শিল্পাঞ্চলের অবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে ইনশাআল্লাহ্।