বাংলারজমিন
টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবারকক্সবাজারের টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ২০ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলি জমি, খামার, চিংড়ির ঘের । এর আগে গত মঙ্গলবার থেকে টানা বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে তা এখনো অব্যাহত। প্লাবিত হওয়া গ্রামের মধ্যে রয়েছে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম, হ্নীলা ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম, টেকনাফ পৌরসভার ৪টি গ্রাম, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ২টি গ্রাম, সাবরাং ইউনিয়নের ৩টি গ্রাম, বাহারছড়া ইউনিয়নের ২টি গ্রাম এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর জানিয়েছেন স্থানীয় নুরুল আবছার নামে এক বাসিন্দা। ওয়াব্রাং এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, নাফনদীর স্লুইস গেটের কাজ চলছে, যার কারণে জোয়ারের পানি গ্রামে চলে আসে এবং কৃষি ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, তার ইউনিয়নের প্রায় ৩-৪ গ্রামের ৪ হাজার বেশি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এসব গ্রাম হলো, জালিয়াপাড়া, সাইটপাড়া, ফুলের ডেইল, আলী আকবরপাড়া, রঙ্গিখালী লামারপাড়া, আলীখালি, চৌধুরীপাড়া, পূর্ব পানখালী, মৌলভীবাজার লামারপাড়া, ওয়াব্রাং, সুলিশপাড়া, পূর্ব সিকদারপাড়া। হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি জানিয়েছেন, লম্বাবিল, উলুবনিয়া, আমতলি, মিনাবাজার, উনচিপ্রাং, কাঞ্চনপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া, রইক্ষ্যং গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে সাড়ে ৩ শতাধিক পরিবার পানিতে প্লাবিত রয়েছে। এর মধ্যে উনচিপ্রাং এলাকার একটি রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বসতবাড়িগুলোতে প্রায় ২-৩ ফুট পানি উঠেছে। বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন জানান, ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের কম-বেশি পানিবন্দি। সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে ১০ গ্রাম। এতে ২ হাজার পরিবার খুব খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছেন। এদিকে শুক্রবারও ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। গভীর রাতে ধমকা হাওয়ায় অনেক বাড়িঘর ও ঘেরাবেড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পড়ে গেছে গাছপালা। টেকনাফ উপজেলার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ভোগান্তিতে পড়বে আরও হাজার হাজার মানুষ।