রাজনীতি
অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাবে, আশাবাদী ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
(৮ মাস আগে) ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২১ পূর্বাহ্ন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সমন্বয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ও ১৫ সেপ্টেম্বর বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে এই সমন্বয় সভার আয়োজন করে দলটি। সভায় বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে রাষ্ট্র সংস্কারের একটি ভিশনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। আমরাও বলেছি, যেন এই সংস্কার কাজগুলো হয়। সেক্ষেত্রে আমরা তাদের কাজের সময় এবং সুযোগও দিতে চাই। আমরা আশা করি-তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) জনগণের চাওয়া পাওয়ার বিষয়টি উপলব্ধি করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজগুলো শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করবে। যার মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। কারণ একটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, গণতন্ত্রের বিকল্প নাই।’
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে এ ধরনের সমস্যা থাকতে পারে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে একটি ফ্যাসিবাদী সরকার বিদায় নিয়েছে। আর আওয়ামী লীগ দলীয়করণের মাধ্যমে প্রমোশন দিয়েছে। তাই কিছুটা সময় লাগবে। সব জায়গায় তো নতুন করে রিক্রুট করা সম্ভব না। যারা আছেন তাদেরকেই কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য আমাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে।’
ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে বসে দেশ ও দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছেন, যা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এসব কথায় কান দেয়া যাবে না। একই সঙ্গে শিল্প প্রতিষ্ঠানে (পোশাকখাত) অস্থিরতা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করব, প্রতিষ্ঠান চালু রাখুন এবং সকল প্রকার অস্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।’
পাঠকের মতামত
খারাপ কি বলেছেন! নির্বাচন তো তিনি এখনই চাননি। সংস্কার শেষে দিতে বলেছেন। এটাকে এত নেগেটিভলি নেয়ার কিছু নেই। বিএনপি গত ১৫ বছর কতটা নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং ভোটাধিকার যে দেশ থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছিল, সেটাও মনে রাখা দরকার।
এই সব সংস্কার করতে দুই আড়াই বছর লেগে যাবে । ভারতের ফাঁদে পা দেবেন না ।
অন্যকিছুর আগে দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণ ও নতুন পুলিশ নিয়োগ দিয়ে হলেও দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি করা প্রয়োজন। নতুবা যতকিছুই করেন সব ফিকে হয়ে যাবে। মানুষ প্রথমে এটাই চায়।
তার সয়না
আপনারা তো একপ্রকার ক্ষমতায় ই আছেন!!! তারপরও যদি তাড়াতাড়ি মসনদে বসতে চান তাহলে বেশী দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না কথায় আছে না গরম জিনিস মুখে দিলে মুখ পুড়বে। আওয়ামী লীগ আপনাদের শান্তিতে বসবাস করতে দিবে না। তাই এই সরকারকে যত বেশি সময় দিবেন ততই আপনাদেে জন্য মংগল।
Stop asking like this way, nobody like you if you say like this. Stop your mouth !!!!
আওয়ামী লীগ সরকার থাকলেতো সাড়ে চার বছর নির্বাচনের নামও নিতে পারতেননা। এরপর কি হতো তাও হয়তোবা জানতেন না। তবে তারা চলে যাওয়ার সাথে সাথেই নির্বাচন নির্বাচন নির্বাচন নির্বাচন কেন শুরু করে দিলেন? আপনিতো অনেক জ্ঞানী মানুষ। কোটি কোটি মানুষের কাছে আপনি খুবই মার্জিত ব্যক্তি। অবশ্যই আশা করব আপনার মত বড় ব্যক্তিদের সামান্য ভুলের কারণেও যেন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো আটকে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। একথাও মনে রাখবেন যে, বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচারীকে যেভাবে চিনেছে আপনাদেরকেও কিন্তু চিনে। তাই কম বলুন। বেশি করুন।
দেশের জনগনও আশাবাদী আপনারা এই সময়ের মধ্যে দলকে চাঁদাবাজ দুর্নীতিবাজ মুক্ত করে একটি পরিশুদ্ধ দল হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আপনাদের দলীয় কমান্ড খুবই দুর্বল।
কালকেই নির্বাচন দিলে ভালো হয় তাই না?ভাবখানা এমন যেন নির্বাচন দিলে দাও না হলে স্বঘোষিত ক্ষমতাসিনা হয়ে যাব।আর তর সয় না। সারাক্ষণ আপনার দলের ব্যাপারে নানা অভিযোগের পাহাড় জমেছে। আর আপনি সহ আপনার দলের নেতৃবৃন্দ নির্বাচন দাও নির্বাচন দাও খুবই বিরক্তিকর।