রাজনীতি
জামিল আহমেদ কীভাবে শিল্পকলার মহাপরিচালক হন, প্রশ্ন রিজভীর
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৫:৩২ অপরাহ্ন
সৈয়দ জামিল আহমেদের মত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর কিভাবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হন বলে এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল এলাকায় আমরা বিএনপি পরিবার সেলের উদ্যোগে ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত তিন পরিবারের মাঝে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তা প্রদানকালে তিনি এমন প্রশ্ন রাখেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি- কেউ কেউ আবার বলেছেন, দেশে একটি স্থিতিশীল পরিবেশের জন্য শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপ করা দরকার, কেন? হিটলারের সঙ্গে কী সংলাপ করা যায়? আবার কী আমরা ইয়াহিয়া খান, টিক্কা খানকে ডেকে নিয়ে এসে সংলাপ করব? এসব বলা লোক সৈয়দ জামিল আহমেদকে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক বানানো হয়েছে। এগুলো হচ্ছে কেন? তিনি কয়েকদিন আগে বলেছেন, পালিয়ে থাকা রামেন্দ্র মজুমদার, নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু- এদেরকে নিয়ে আসা দরকার। আমার প্রশ্ন তারা পালিয়েছেন কেন? ওরা আত্মগোপনে আছে কেন? আমরা তো দেখছি, যারা ভদ্র আওয়ামী লীগার তারা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের দুর্বলতার সুযোগে কিংবা ভালো মানসিকতার সুযোগে ওই পরাজিত স্বৈরাচারের লোকেরা যেন কোনভাবেই প্রতিষ্ঠা না পায়। হিটলারের যারা সহযোগী ছিল তাদেরকে কি পরবর্তী সরকার কোন জায়গায় দিয়েছিল? এটাতো আমরা কখনোই শুনি নাই।
রিজভী বলেন, তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা নানা কথা বলছেন। আপনি সৈয়দ জামিল আহমেদ, এই সমস্ত বুদ্ধিজীবীদেরকে নিয়ে কিসের রাষ্ট্র তৈরি করতে চান। আবার আপনি শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে চান? আপনি শেখ হাসিনাকে ফিরে আনলে হয়তো আপনাদের আবার সুবিধা হবে। কিন্তু গোটা জাতি আবার ক্রীতদাস হয়ে যাবে, বন্দী হয়ে যাবে শেখ হাসিনা এবং তার প্রভু ভারতের কাছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সোমবার ২৫ জন ডিসি দিয়েছেন। এই ২৫ জন ডিসির সবগুলোই ছিল ছাত্রলীগের। এরা এখন ডিসি হয়ে গেছেন, এরা তো গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করবে না। আজকে যারা আয়না ঘর করেছেন, সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডকে যারা ধামাচাপা দিয়েছেন, যারা একের পর এক দুষ্কর্ম করছেন -তাদেরকেই তো এরা প্রশ্রয় দিবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সকলের আস্থা আছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সকলের শ্রদ্ধাভাজন, কিন্তু উনাদেরকে দেখতে হবে এই পরাজিত ভয়ঙ্কর স্বৈরশক্তির দোসরা তারা যদি মাথা চাড়া দেয় তাহলে তো আবার সেই পরিস্থিতি তৈরি হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আমরা বিএনপি পরিবার সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মোকছেদুল মোমিন মিথুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সরকার হল ১/১১(২) সরকার। এ সরকারের বেশির ভাগ সদস্য ১/১১ এর সুবিধা ভোগী। এদের কাছে বেশি কিছু আশা না করাই ভাল।