ঢাকা, ১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

রাজনীতি

৭১-এর মীমাংসিত বিষয় নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই: আ স ম রব

স্টাফ রিপোর্টার

(১০ মাস আগে) ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৪:৪৮ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:২০ পূর্বাহ্ন

mzamin

৭১-এর মীমাংসিত বিষয় নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, ‘৭১ সালের মার্চ মাসেই স্বাধীনতার ইশতেহারে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের নামকরণ, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতসহ মৌলিক প্রশ্ন নিষ্পত্তি করেই রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের মীমাংসিত ভিত্তি যা অগণিত আত্মত্যাগের বিনিময়ে জাতির অস্তিত্বে প্রথিত হয়ে আছে, তা নিয়ে অহেতুক বিতর্কে জাতীয় অনুভূতি ও মনন আঘাত প্রাপ্ত হয়।’

শনিবার জেএসডির কেন্দ্রীয় ও মহানগরের সংগঠকদের সঙ্গে আলোচনাকালে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার শতাধিক নেতাকর্মী আ স ম আবদুর রবের হাতে ফুল দিয়ে জেএসডিতে যোগ দেন।

মীমাংসিত বিষয় নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এসব অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক তুলে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বিঘ্ন সৃষ্টি করা কোনোভাবেই ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর ৭১-এর জনআকাঙ্ক্ষার সাথে ২৪-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সেতুবন্ধনে নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে; কোনো অবস্থাতেই এর ব্যত্যয় হতে দেওয়া যাবে না।’

আলোচনা সভায় সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ১৯৭২ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনার আলোকে সংবিধান রচনা ও বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের বিশেষ পর্যায় পর্যন্ত ‘বিপ্লবী জাতীয় সরকার’ গঠনের মৌলিক প্রস্তাবনা উপেক্ষা করায় বাংলাদেশ ক্রমাগত বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হয়। বিগত ১৫ বছর রাষ্ট্রীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে দলের অনুগত করে সরকারের অবৈধ ক্ষমতা কুক্ষিগত করার এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার করেছে। গত ৫ই আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর সংসদের উচ্চকক্ষসহ ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তন, সংবিধানের আমূল সংশোধন এবং ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার অপসারণ জাতীয় এজেন্ডায় পরিণত হয়েছে। এসব লক্ষ্য পূরণে দলের নেতাকর্মীদের সর্বাত্মক সক্রিয় থাকতে হবে।’

ঢাকা মহানগর জেএসডির সমন্বয়ক ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে দপ্তর সম্পাদক কামরুল আহসান অপুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া,সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন মজুমদার সাজু ও মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল।

এছাড়া যোগদানকারীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, মোহাম্মদ নূর নবী, মনির হোসেন, জিয়াউর রহমান বাচ্চু, মফিজুর রহমান বাবু ও রফিকুল ইসলাম রাজা।

পাঠকের মতামত

সকল বিষয় নিয়ে বিতর্ক চলতে পারেনা, উচিতওনা।

আনোয়ার হোসেন
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১১:১১ পূর্বাহ্ন

২৪ শে পাওয়া দ্বিতীয় নতুন স্বাধীনতা উত্তর জাতির প্রথম দাবি নতুন সংবিধান ও নতুন জাতীয় সংগীত ।

রেজাউল করিম
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১০:০৭ অপরাহ্ন

জাতীয় কবি কিন্তু রণ সংগীত বনাম কবি গুরু কিন্তু জাতীয় সংগীত কি অপূর্ব কৌশল।

ariful
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১০:০৩ অপরাহ্ন

আজাইরা আলাপ। কোনো কিছুই মীমাংসিত নয়, অপরিবর্তনীয় নয়, ইতিহাস থেকে সংবিধান সবকিছু গাঁজাখুরি গল্প দিয়ে ঠেসে দেওয়া।

জাহেদ
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১০:০২ অপরাহ্ন

দেশীয় ঐতিহ্যের সাথে সাযুজ্য রেখে পরিবর্তন প্রয়োজন।

ড. জাহাঙ্গীর আলম
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৯:১০ অপরাহ্ন

বর্তমান জাতীয় সংগীতের সাথে জাতির আশা আকাংখার কোন কিছু জড়িত নাই। অতএব এই জাতীয় সংগীত রাখার কোন প্রশ্নই আসে না। ছাত্র জনতা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। খুনি হাসিনার স্বৈরতন্ত্রকে নস্যাত করেছে। উনি এখন মোড়লগিরি করতে এসেছেন। মীমাংসিত বিষয় আবার কি? এ সংগীত বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হতে পারে না। এটাই শেষ কথা। যেখানে অসংখবার সংবিধান পরিবর্তন করা হয়েছে, সংশোধন করা হয়েছে। আর উনি বলছেন জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করা যাবে না। জাতীয় সংগীত কি কোরানের বাণী না কি?

Mohammed Rafiqul Isl
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৮:২৮ অপরাহ্ন

এ গান কখন লেখা হয়েছে, কি পেক্ষাপটে লেখা হয়ছে প্রথমে এ ধারণাটি আমাদের থাকতে হবে। গানের যে 'সুর' কার গানের সুরকে 'নকল' করেছেন এব্যাপারে জানতে হবে। রবীবাবু ১৯৪১ সালে 'গত' হয়েছেন যখন বাংলাদেশ কি পাকিস্তানেরও জন্ম হইনি। যে ব্যক্তি 'যে স্বাধীন দেশটার নামও' কোনদিন শুনেইনি তার গান আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। এ গানটি লেখা হয়েছে 'বঙ্গভঙ্গের' প্রতিবাদে অর্থাৎ তখনকার দিনে পূর্ব বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশ) মানুষের অধিকার ও উন্নয়নের বিপক্ষে শোষকশ্রেণী স্বার্থের একটি কবিতা। অর্থাৎ বৈষম্যকে সমর্থনকারী একটি গান। গানের অনেক অংশে মুসলমানদের ঈমান-আক্বীদার সাথে সাংঘর্ষিক তাই আলেম-ওলামা এ গানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সর্বপুরি এদেশের অধিকাংশ মানুষই চাই না এ গানটি আমাদের 'জাতীয় সঙ্গীত' থাকুক।

হাবিব, আবুধাবী-ইউএই।
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৮:১৭ অপরাহ্ন

একমত

মো নজরুল ইসলাম
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৮:০৮ অপরাহ্ন

যে ঘোষণা পত্রকে মূলনীতি ধারণ করে যেমন- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে তা কি ৫৪ বছরে বাস্তবায়ন হয়েছে? সংবিধান বার বার পরিবর্তন বা সংশোধন করা হয়েছে। এখন তো আওয়াজ ওঠেছে সংবিধান নতুন করে লিখতে হবে। তাহলে জাতীয় সঙ্গীত কি চিরস্থায়ী বিষয় যে তা জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তন করা যাবে না? জাতীয় সঙ্গীত কোন ধর্মগ্রন্থ নয় যে তা পরিবর্তন করলে জাহান্নামে যেতে হবে।৷ একমাত্র ঐশীবাণী ছাড়া মানবসৃষ্ট সবকিছুই সময়ের চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তনশীল।

আবুল কাসেম
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৭:২৮ অপরাহ্ন

একমত।

আনোয়ার হোসেন
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৬:৪২ অপরাহ্ন

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

রাজনীতি সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status