প্রথম পাতা
পদত্যাগ করছে আউয়াল কমিশন
স্টাফ রিপোর্টার
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবারমেয়াদ পূর্তির আগেই পদত্যাগ করছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। আজ দুপুরে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা আসতে পারে। সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে ইসি’র পক্ষ থেকে গতকালই নিশ্চিত করা হয়েছে। ৫ সদস্যের ইসি’র একজন ৫ই আগস্টে সরকার পতনের পর আর অফিস করছেন না। তিনি অনানুষ্ঠানিকভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছেন। সিইসি ও অন্য ৩ কমিশনার এতদিন অফিস করে আসছিলেন। তাদের পদত্যাগের দাবি ছিল নানা মহল থেকে। গতকালও ইসির পদত্যাগের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের সামনে কর্মসূচি পালন করা হয়।
ইসি সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবারই পদত্যাগের ঘোষণা আসতে পারে। পদত্যাগের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন কমিশনাররা। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে ব্যক্তিগত মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন তারা। অনেক আগে থেকেই অফিস করছেন না নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।
তবে পদত্যাগের বিষয়ে মুখ খোলেননি সিইসিসহ কোনো কমিশনার। গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার অফিস থেকে বের হওয়ার সময় তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। সিইসি বলেন, বৃহস্পতিবার ১২টার সংবাদ সম্মেলনে সবকিছু জানানো হবে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কবে দেখা করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাবো।
এদিকে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ ও ইসির সংস্কারের দাবিতে ইসির সামনে গতকাল বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন ভোটাধিকারবঞ্চিত নাগরিক সমাজ। ইসির সংস্কার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা। দাবিগুলো হলো- আউয়াল কমিশনের পদত্যাগ, ২০১৮ সালের কেএম নূরুল হুদা কমিশনের বিচার, ২০১৪ সালের কাজী রকিব কমিশনের বিচার, বিগত সরকারের দালাল কর্মকর্তাদের অপসারণ এবং দক্ষ, যোগ্য ও সৎ কর্মকর্তাদের পদায়ন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আগেও নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চেয়ে কয়েকবার ঝটিকা বিক্ষোভ হয়েছে।
২০২২ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন। তার আগে সরকার নির্বাচন কমিশন নিয়োগে আইন প্রণয়ন করে, যেখানে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নামের প্রস্তাব নিয়ে ৫ সদস্যের ইসি নিযোগ দেন প্রেসিডেন্ট। নির্বাচন কমিশনাররা হলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান।
আউয়াল কমিশন দায়িত্ব নেয়ার কয়েক মাসের মাথায় বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করে। তবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ভোট বর্জনের নীতিতে থাকায় সেই সংলাপে অংশ নেয়া থেকেও বিরত থাকে। এরপর বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ছাড়াই চলতি সালের ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করে ইসি। এর আগে বিভিন্ন উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের সাধারণ নির্বাচনে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্যকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে সিইসির স্ববিরোধী বক্তব্য কমিশনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্নের জন্ম দেয়। এ ছাড়া ভোটের ফলাফল পরিবর্তন নিয়েও সন্দেহ সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার বাড়ানো, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিয়েও সমালোচনায় পড়ে সংস্থাটি। অন্যদিকে আউয়াল কমিশনের আয়োজিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা। বিরোধী দলগুলোর বর্জন করা এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
ফ্যাসিষ্ট সৈরাচার এর সহযোগীদের বিচার করতে হবে।
২০২৪ নির্বাচনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের সকলের বিচার হতে হবে-কেননা তারা যদি তাদের শপৎ এর প্রতি দায়িত্বশীল হতো এবং অংশগ্রহন মূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে পারতো -তা হলে এই অবৈধ সরকার হয়তোবা আসতোনা এতে দেশে এক শাষন ব্যবস্হা কায়েম হতো না , মানুষের বাক স্বাধীনতা ও ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করতে করতে এত শহীদ হতো না । তারা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব সৎ ও নিষ্ঠার সাথে সঠিক ভাবে পালন করেন নি-এইসব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে নিজেদের কে বিগত সরকারের অবৈধ কাজে সহয়তা করেছেন। এমতাবস্তায় বাংলাদেশের সাংবিধানীক আইনে এইসব লোকদের সঠিক বিচার কামনা করছি।
নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আওয়াল, আলমগীর, আনিছুর, কবিতা গংদেরকে পদত্যাগের পর আইনের আওতায় আনতে হবে কারণ বিগত সরকারের আমলে ওনারা সরকারের পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা পালন করেছেন ওনারা দেশের জনগণের সাথে বেঈমানী নাফরমানি করেছেন এবং তারা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব সত্ ও নিষ্ঠার সাথে সঠিক ভাবে পালন করেন নি এইসব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে নিজেদের কে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পা চাটা গুলামের কাজ করেছেন। আমরা বাংলাদেশের জনগণ এইসব লোকদের কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি কামনা করছি।
নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আওয়াল, আলমগীর, আনিছুর, কবিতা গংদেরকে পদত্যাগের পর আইনের আওতায় আনতে হবে কারণ বিগত সরকারের আমলে ওনারা সরকারের পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা পালন করেছেন ওনারা দেশের জনগণের সাথে বেঈমানী নাফরমানি করেছেন এবং তারা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব সত্ ও নিষ্ঠার সাথে সঠিক ভাবে পালন করেন নি এইসব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে নিজেদের কে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পা চাটা গুলামের কাজ করেছেন। আমরা বাংলাদেশের জনগণ এইসব লোকদের কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি কামনা করছি।
মানুষ লোভে খারাপ হয়।
পদত্যাগ করার সাথে সাথে তাদেরকে গ্রেফতার করে কারাগার নিক্ষেপ করা হোক। আর আনিছুর রহমানকে জনগণের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিত। ওর বিচার হবে জনতার আদালতে।
Another traitor is gone. He will probably spent rest of his life with his family in Australia. Now ask yourself a question: what have you done for Bangladesh? You are pathetic.
২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের সকলের বিচার চাই। জামাতের আমির শফিক সাহেব যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে সেই ক্ষমার মধ্যে এরা আছে কিনা জিজ্ঞেস করে নিয়েন। নতুবা ওনি মাইন্ড করবেন। ওনারা মাইন্ড করলে তো আমাদের বেহেস্ত দেবেনা। দেখলেন না, হাসিনারে বেহেস্ত দিয়ে দিয়েছিল।
সিইসি'র শুধু পদত্যাগ করলেই হবে না ৭/১/২৪ অবৈধ, এক দলীয় শাসন কায়েম করার অন্যতম সহযোগী হওয়ার অপরাধের জন্য সঠিক বিচার ও করা দরকার। ধন্যবাদ