খেলা
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক
(৬ মাস আগে) ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৩:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:২৩ অপরাহ্ন

এই সিরিজের আগে পাকিস্তানের মাটিতে ৩ সংস্করণ মিলে কোনো জয় ছিল না। টেস্টে ঘরের মাঠে একটি ড্র সর্বোচ্চ সাফল্য। উপরের দুটি পরিসংখ্যানই এবার বদলে ফেললো বাংলাদেশ। গত সপ্তাহে টেস্টে প্রথম জয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের মাটিতেও প্রথম জয় পেলো টাইগাররা। এবার আজ দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জয়ের সঙ্গে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়লো নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
এই প্রথমবার কোনো পূর্ণ শক্তির দলের বিপক্ষে দেশের বাইরে টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলো বাংলাদেশ। বিদেশে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের একমাত্র সিরিজ জয়টি এসেছে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের ঝামেলায় সেবার দ্বিতীয় সারির দল খেলায় ক্যারিবিয়ানরা। ফলে টেস্টে এখন পর্যন্ত এটাই বাংলাদেশের সেরা সাফল্য।
রাওয়ালপিন্ডিতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ে সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। তবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন কুমার দাস ১৬৫ রানের জুটি গড়ে দলকে ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করেন। মিরাজ ৭৮ আর লিটন করেন ১৩৮ রান।
এরপর বল হাতে হাসান মাহমুদের ৫ ও নাহিদ রানা ৪ উইকেটে পাকিস্তানকে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে আটকে রাখে বাংলাদেশ। সেটা তাড়া করতে নেমে গতকাল বিকেলেই ঝড়ো শুরু এনে দেন জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। আজ সকালে আরেকটি ক্যামিও খেলেন ফেরেন জাকির (৪০)। এরপর সাদমানও দ্রুত ফিরলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৬ রানের ব্যবধানে শান্ত ও মুমিনুল ফিরলে বাকি কাজটুকু সারেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান।
এর আগে একই মাঠে সিরিজের প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের করা ৪৪৮ রানের জবাবে ৫৬৫ রান করে বাংলাদেশ। ১১৭ রানে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তান নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১৪৬ রানে। ফলে জয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ রান। জাকির হাসান ও সাদমান ইসলামের ওপেনিং জুটিতেই স্বল্প লক্ষ্য টপকে যায় টাইগাররা। ওটা ছিল পাকিস্তানের মাটিতে ও টেস্টে তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়।
পাঠকের মতামত
লতিফুর,রকিবুল, হীরা বাদশা সহ আর নাম না জানা অনেক খেলোয়াড়দের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের হাত ধরে আজ বাংলাদেশ একটা সম্মান জনক অবস্থায় পৌঁছাতে পেরেছে। অভিনন্দন রইল সকলকে।
অভিন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে।খেলার মধ্যে রাজনীতির কোন স্থান নেই।দেশপ্রেমের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বাংলাদেশ ক্রিক দল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন। ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছেন, “জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে তারই সুফল পাওয়া যাচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। পাকিস্তানকে টেস্টে প্রথমবার হোয়াইট ওয়াশ করা কিংবা সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতা, সবকিছুই নতুন বাংলাদেশের প্রতিফলন।” আমিও আসিফের সাথে একমত। বাংলাদেশের শেখ হাসিনা ও তার মনোনীত ক্রিকেট বোর্ডের গাদ্দারির কারণে এতোদিন ভালো টিম গঠন করতে পারেনি। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা থাকলে দেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
অভিনন্দন বাংলাদেশ দলকে পাকিস্তানকে পরাজিত করার জন্য।
পরিচাল ভালো হলে, খেলোয়াড়দের মাঝে দেশ প্রেম থাকলে আরও উন্নতি হবে।ইনশাল্লাহ
এতদিন ছেলেরা প্রাণ খুলে নিজেদের মতো খেলতে পারে নাই। নিশ্চই এখানে কর্মরতদের আর ২/১ জন খেলোয়াড়ের জুয়ার বিষয় জড়িত থাকতে পারে।
অসাধারণ! অবিস্মরণীয়! ঐতিহাসিক! প্রাণঢালা অভিনন্দন টিম টাইগার্সকে। সত্যি বলতে কি দ্বিতীয়বার স্বাধীন হবার পর আক্ষরিক অর্থেই পাল্টে গেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। আলহামদুলিল্লাহ্!
অভিনন্দন