প্রথম পাতা
যুবদল নেতা নয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ইসলামী ব্যাংকে সশস্ত্র বহিরাগতদের হামলা
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১২ আগস্ট ২০২৪, সোমবারঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংকে হামলা করার অভিযোগ
পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দখল ও চাঁদাবাজির নানা অভিযোগও রয়েছে। এস আলম গ্রুপের পক্ষে তারা জোর করে ইসলামী ব্যাংকে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাদের প্রবেশে বাধা দিলে কর্মকর্তাদের ওপরে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। এসময় ইসলামী ব্যাংকের গোডাউন গার্ড (ডিজি) শফিউল্লাহ সরদার, আবদুল্লাহ আল মামুন, আব্দুর রহমান ও বাকী বিল্লাহসহ ৫ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হন। তারা বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গতকাল সকাল সোয়া ১০টার দিকে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের সামনে কর্মকর্তারা অবস্থান নিলে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ রয়েছে, এস আলম গ্রুপের হয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নয়ন ও তার অনুসারীরা এই ব্যাংক দখলে ভাড়াটে হিসেবে কাজ করেন। ব্যাংক দখলে নিতে তিনি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেন। এসময় ৫ ব্যাংক কর্মকর্তা তার ছোড়া গুলিতে আহত হন। এর আগে তার বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি টেলিভিশন দখল চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। টিভির মালিকানা নিয়ে ঝামেলা থাকায় একটি পক্ষকে সমর্থন জানিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাগুরার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও মাত্র কয়েকদিনে দখল আর চাঁদাবাজি করে কয়েক কোটি টাকা কামিয়েছেন নয়ন। এর ফলে দলের মধ্যে নানান বিতর্ক চলছে তাকে ঘিরে।
বিষয়টি কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তিনি মানবজমিনকে জানান, বিষয়টি তারা শুনেছেন। খোঁজখবর নেয়ারও চেষ্টা করছেন।
ইসলামী ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, তারা জামানতবিহীন, অনিয়ম করে লোন কেলেঙ্কারির প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আকস্মিকভাবে এস আলম গ্রুপের হয়ে কাজ করা কয়েকজন কর্মকর্তাসহ প্রায় শতাধিক লোক অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাদের প্রবেশে বাধা দিলে বহিরাগতরা অস্ত্র বের করে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। এসময় পাঁচ কর্মকর্তা আহত হন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। পরে উপস্থিত কর্মকর্তারা পাল্টা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
ইসলামী ব্যাংকের সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০১৭ সালের পর নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে সকালে পুরনো কর্মীরা ঘোষণা দেন। ওই বছরের পরে নিয়োগ পাওয়া বেশির ভাগ কর্মীই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার, সে কারণে তারা পটিয়ার কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে পরিচিত। পুরনো কর্মীদের ঘোষণার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পটিয়ার কর্মীরা আশপাশে জড়ো হয়ে ব্যাংকের দিকে রওনা দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এরপর পুরনো কর্মীরা পটিয়ার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলি ছোড়া হলে কয়েকজন আহত হন। এদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ইসলামী ব্যাংকের পুরনো কর্মীরা গুলি ছোড়ার জন্য পটিয়ার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়ী করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার সরকার পতনের পর ব্যাংক খোলার প্রথম দিনেই বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংকে অস্থিরতা শুরু হয়।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড কে পটিয়া মুক্ত করা হোক।এস আলম গ্রুফের মালিক এই ব্যাংকটিকে ব্যক্তি গত মানি ব্যাগ বানিয়ে পেলছেন।
এরাই দেশের দুশমন। এরা থাকলে ভালো মানুষের জায়গা কোথাও হবে না।
নয়ন দোষী প্রমাণিত হলে বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কার করা উচিত বলে মনে করি।
অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক। তা না হলে এ প্রজন্মের অর্জন বৃথা যাবে। এর এভাবে অন্যায় অবিচার সহ্য করা হবে না।
এই সন্ত্রাসী নয়নের বহিস্কার চাই নাহলে আমরা বিএনপিকে বয়কট করবো
যুবদল কি যুবলীগের পথ অনুসরন করছে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরত আসতে না পারার জন্য এই রবিউল ইসলাম নয়নই যথেষ্ট
এস আলম গ্রুপ হাসিনার দোষর। আর যুবদল নেতা গেছে ওদের পক্ষে নিয়ে। এই কুলাঙ্গারের দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বি এন পি যে আওয়ামীলিগের চেয়েও বেশি এবং বড় কুলাঙ্গারে দলে পরিনত হবে এত কোন সন্দেহ নাই।
অপরাধি সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, বাড়ী মাগুড়া। বদনাম হবে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ঢাকার। ধীর গতির প্রশাসন অভিলম্বে রবিউল ইসলাম নয়নকে দল থেকে বহিস্কার করতে হবে।
No BNP, No Awamileague, no Jamat, we want to see honest persons Party in power.
Very significant news at this moment.
ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা দেখার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক দখলে উন্মত্ত যুবদলনেতার দল যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে তার মাধ্যমে আর কি কি ভালো কাজ আশা করা যেতে পারে?
অতি দ্রুত গতিতে সরকার এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এস আলম গ্রুপের দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করতে ।
বিরাট গর্ত যোদ্ধা। এতদিন কোন গর্ভে লুকিয়ে ছিলে গো। হালুয়া রুটি খেয়ে হ্যাডম দেখাতে এসেছে।
যুবদল কি যুবলীগের স্থলাভীষিকত হচ্ছে?