দেশ বিদেশ
উপদেষ্টা নাহিদ বললেন
কারা ইন্টারনেট শাটডাউন করেছিল তদন্ত করা হবে
স্টাফ রিপোর্টার
১২ আগস্ট ২০২৪, সোমবারকোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ বের করতে তদন্ত করা হবে। পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। গতকাল প্রথম সচিবালয়ে অফিস করেন তিনি। এসময় সভাকক্ষে তিনি বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ করা কিংবা স্পিড সীমিত করে দেয়া মানবাধিকারের লঙ্ঘন। তথ্য জানার অধিকার সবার আছে। আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে কতো মানুষ মারা গেছে তা আমরা এখনো জানি না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ ও ডিজিটাল ক্র্যাকডাউনের পেছনে কারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের ব্যবস্থা করবো। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, এই আন্দোলনের মোটো ছিল মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সেজন্য প্রশাসনে যারা কাজ করছে তারাও যেন মেধার ভিত্তিতে সুযোগ পায় সেই চেষ্টা করা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবশ্যই জিরো টলারেন্স নীতি বজায় থাকবে। আইসিটি সেক্টরে তরুণদের কাজের একটি বড় সুযোগ আছে। দেশে এমন তরুণ সংখ্যায়ও ব্যাপক। এখন তাদের সঙ্গে সংযুক্তি প্রয়োজন। যারা অভিজ্ঞ তাদের সঙ্গে একটি সংযোগ ঘটানো হবে। কারণ তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম সক্ষম। শুধু প্রয়োজন তাদেরকে সেই সুযোগ করে দেয়া। নাহিদ বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি মেধাবীরা দেশ নিয়ে হতাশ। তারা ব্যাপক পরিমাণে বিদেশমুখী। কারণ তাদের গুরুত্ব দেয়া হয় না। বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭১ সাল যেমন বড় ঘটনা, তেমনি ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানও আরেকটি বড় ঘটনা হিসেবে ইতিহাসে লেখা থাকবে। কিন্তু পরবর্তী সময়টুকু কাজে লাগাতে না পারলে এই ইতিহাসের যথাযথ মূল্যায়ন আমরা করতে পারবো না। আগের বাংলাদেশ চাই না। সর্বস্তরেই অনেক সমস্যা। রাষ্ট্রীয় কাঠামোর আমূল পরিবর্তন ছাড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়া যাবে না। আমরা শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন চাই না বরং কাঠামোগত পরিবর্তন করতে চাই। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখন যেহেতু দেশ গড়ার একটি সুযোগ এসেছে, তা সবাইকে কাজে লাগানো উচিত। ছাত্র এবং সাধারণ মানুষরা তাদের ভূমিকা পালন করেছে। এখন বাকি কাজটুকু আপনাদের করতে হবে। আমরা জানি না- বাংলাদেশের এই স্থিতাবস্থা কতোদিন থাকবে। কিন্তু এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। কারণ এখন বাংলাদেশে অন্তত দলীয়করণ করার সুযোগ নেই। আমরা একটা অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে এসেছি। তাই এখন সত্যিকার অর্থেই দেশ ও জাতির জন্য কাজ করার সুযোগ এসেছে। এর আগে তিনি সকাল ১০টার দিকে সচিবালয়ে আসেন। এসময় তিনি বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে কর্মচারী- কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। উপদেষ্টাকে কর্মচারী-কর্মকর্তারা ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন। বিভিন্ন দপ্তরের অনেক কর্মকর্তা নিজেদের বঞ্চনা ও কষ্টের কথা তুলে ধরেন। নাহিদ সেগুলো মন দিয়ে শোনেন এবং এসব বিষয়ে ভবিষ্যতে কথা বলবেন বলে জানান। প্রথম দিন অফিসে বেশি সময় দিতে পারেননি তিনি। বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টাদের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেলা ১২টার দিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মুশফিকুর রহমানকে নিয়ে যান।