রাজনীতি
স্বৈরাচারের দোসররা প্রতিশোধের নীল নকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে: ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৯ আগস্ট ২০২৪, শুক্রবার, ৩:১৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:২৯ অপরাহ্ন
স্বৈরাচার ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তথা বিজয়ী ছাত্র-জনতার উপর প্রতিশোধের নীল নকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এই অভিযোগ করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছি পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তথা বিজয়ী ছাত্র-জনতার উপর প্রতিশোধের নীল নকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। একই সঙ্গে এসব ঘৃণ্য অপরাধের দায় সুকৌশলে বিএনপিসহ সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির উপর চাপানোর জন্য সামাজিক গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে ব্যাপকভাবে। বিশেষ করে প্রতিবেশী একটি দেশের কিছু কিছু নিউজ চ্যানেলসহ সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মগুলিকে ব্যবহার করছে একটি চিহ্নিত মহল।
তিনি বলেন, বিশেষভাবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পদ ও ধর্মীয় উপসানালয়কে টার্গেট করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করাই এই মুহূর্তে তাদের ষড়যন্ত্র। বিজয়ী সকল শক্তি তথা জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টায়ও তারা মরিয়া হয়ে লেগেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আশা করি ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, প্রশাসন তথা সর্বস্তরের সকল নাগরিকরা এ বিষয়ে সজাগ আছেন। আমাদের দল বিএনপি ইতিমধ্যে আমাদের সাধ্যমত সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলছে। দলের নাম ব্যবহার করে যারাই এই ধরনের অপতৎপরাতায় জড়িয়ে পড়বে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি ও পরিবেশের গভীরতা অনুভব করে দেশবাসীসহ সংশ্লিষ্ট দেশী-বিদেশী সকল সহায়ক শক্তিকে আবারও সজাগ করতে চাই পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে। বিশেষভাবে আহ্বান করতে চাই, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সকল নাগরিকদের। আহ্বান রাখছি এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যার যার স্থান থেকে সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, দেশপ্রেমিক প্রতিরক্ষা, প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করার জন্য দল মত নির্বিশেষে তাদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি ।
বি এন পি যতই বলুক নৈরাজ্য ষড়যন্ত্রকারীরা করছে, এটা মোটেই সঠিক নয়। বিএনপি'র মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা করছে এদেরকে থামাতে হবে। তাই প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে মহলে মহলে কমিটিকে এইসব নৈরাজ্য বন্ধ করার জন্য কেন্দ্র থেকেই কঠিন বার্তা দিতে হবে। তাহলেই বন্ধ হবে।
যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচনের জন্য চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
হাসিনা পুত্র জয় প্রথমে বলেছিল তার মা এমনকি শেখ বংশের কেউ আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরবেনা। এখন তার সুর উল্টো হয়ে গেছে। এখন সে বলছে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হলে হাসিনা দেশে ফিরবে এবং নির্বাচন করবে। অথচ হাসিনা সংবিধান থেকে নিরপেক্ষ সরকারের বিধান বাতিল করেছিল। এজন্য হাজার হাজার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হত্যা করা হয়েছে। এখন হাসিনা নিরপেক্ষ সরকারের সুযোগ নিতে চায়। হাসিনা যদি সেই সুযোগ পায় বা তাকে সেই সুযোগ দেয়া হয় তাহলে এতো আন্দোলন, এতো শহীদ কেন? কেন এতো মায়ের বুক খালি করা। এখন যেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে সেখানে অন্তত তিনজন আছে জয়বাংলা শ্লোগানধারী। এরা কি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে কাজ করবেনা? ড.আসিফ নজরুল সর্বজন শ্রদ্ধেয় স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে একজন প্রতিবাদী মানুষ। ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দ মনে হয় তাঁর কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে। তাহলে আসিফ স্যার কি খেয়াল করেননি যে অন্তর্বর্তী সরকারে কাদের নাম ছাত্র প্রতিনিধিরা প্রস্তাব করেছে। তাঁর অগোচরে কিছু হয়েছে বলে মনে হয়না। যদি কারো ভুলের জন্য এই গণঅভ্যুত্থানের ফসল হাইজ্যাক হয়ে যায় তাহলে আবার রক্তগঙ্গা বইবে। আমাদের ভুলে যদি আওয়ামী লীগ আবার জেগে ওঠে তাহলে যদি তারা ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে কি পরিমাণ প্রতিশোধ তারা নেবে তা কেউ হিসেবে রাখছেন কিনা জানিনা। তবে আমাদের ভুলে বিজয় দুয়ারে এসেও হাতছাড়া হওয়ার কথা কবি ফররুখ আহমদ লিখেছেন 'পাঞ্জেরী' কবিতায়। 'আমাদেরি ভুলে পানির কিনারে মুসাফির দল বসি / দেখেছে সভয়ে অস্ত গিয়াছে তাদের সেতারা, শশী।'
My advise to BNP now is to support interim government and work with them very closely to restore the country not to run for election only!
সকল থান/উপজেলা নেতাদের ডেকে বলে দেন আমরা নতুন বাংলাদেশ চাই। কোন ধরনের সহিংসতায় জড়ালে কঠিন শাস্তি পেতে হবে
সময়োপযোগী বিবৃতি। ৫ তারিখ রাত্র থেকে শুরু করে যে সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটেছে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা ও লুটপাট করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এই ছাত্র-জনতার বিজয়কে নস্যাৎ করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশে থাকতে হবে।
Yes, correct. Everybody Political Party should be alert.
R. Republic এটা ভারতের একটি চ্যানেল। এটি কোমর বেদে নেমেছে বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদি দেশ হিসেবে চিহ্নিত করবার জন্যে। উদ্দেশ্যেমুলক ভাবে তারা কঠোর ভাষায় আমাদের বিজয়ী ছাত্রদের ভূয়া সমালোচনা করছে। ব্যাপকভাবে মিথ্যা খবর প্রচার করছে এই মুর্হুতে।