প্রথম পাতা
ইতিহাসের সর্বোচ্চ উত্থান পুঁজিবাজারে
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
৯ আগস্ট ২০২৪, শুক্রবারশেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশের শেয়ারবাজার ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। এমনকি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সূচকে একদিনে সর্বোচ্চ উত্থান দেখলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বৃহস্পতিবার ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স ডিএসইএক্স ৩০৬ পয়েন্ট বা ৫.৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩ সালে ডিএসইএক্স চালুর পর এর আগে কখনো সূচকটি একদিনে এতটা বাড়েনি। টানা তিন দিনের ব্যাপক উত্থানে ইতিমধ্যে ৬ হাজার পয়েন্ট ছুঁইছুঁই করছে সূচক, অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯২৪ পয়েন্টে। দীর্ঘ সময় টানা দরপতনে থাকা দেশের পুঁজিবাজারে এই উত্থান যেন বিনিয়োগকারীদের মাঝে ভালো দিনের আগাম জানান দিচ্ছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়েছে। ফলে সেখানেও মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে।
শেয়ারবাজারে লেনদেন চলার মধ্যেই দেশে এসে পৌঁছান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ইউনূসের দেশে আসা সূচকের উত্থান প্রবণতা যেন আরও বাড়িয়ে দেয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি হলে শেয়ারবাজারে মন্দা অবস্থা দেখা দেয়।
পরিবর্তন এসেছে লেনদেন, দর বৃদ্ধি এবং দর পতনের শীর্ষ তালিকাতেও। লেনদেন এবং দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসতে শুরু করেছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারানো ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন স্বৈরাচারী সরকারের পতনে শেখ হাসিনার স্নেহভাজন মুক্ত হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি আর বাজার থেকে বিদায় হবে কারসাজিকারী দুষ্ট চক্র। ফলে পুঁজিবাজারে আবারো আশা খুঁজে পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
প্রধান মূল্যসূচক ইতিহাস সৃষ্টির দিনে ডিএসইতে ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। সেইসঙ্গে লেনদেনেও বড় উত্থান হয়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি। এর মাধ্যমে চলতি বছরের ২রা ফেব্রুয়ারির পর বাজারটিতে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো।
লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। দাম কমেছে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের। সাতটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩০৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৯২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ২০১৩ সালের ২৮শে জানুয়ারি চালু হয় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স। এরপর এ প্রথম সূচকটি একদিনে ৩০০ পয়েন্টের উপরে বাড়লো। এর আগে ২০১৩ সালের ২রা জুন সূচকটি ২৭৩ পয়েন্ট বেড়েছিল। বৃহস্পতিবারের আগে এটিই একদিনে সূচকটি সর্বোচ্চ বাড়ার রেকর্ড ছিল।
দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬০৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭৭৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৮৩০ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে চলতি বছরের ২রা ফেব্রুয়ারির পর ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো। অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৮৬১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৪৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩১টির এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
Alhamdulilah
Taking a chance verycarefully and waching this is the not a real picture of our market.
Very careful. Everyone has to careful before investment. Otherwise fraud team again bring another disaster. Please be careful.
শেয়ার বাজার আমি বিশ্বাস করি না । আমার অর্থনীতির স্যার ( মেকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের) বলেছিলেন এটি এক টুকরা কাগজ, a piece of paper. তাই কখনও শেয়ার কেনা বেচা করি নি। পক্ষান্তরে নিজের থাকার বাড়ি কিনে ছিলাম, শান্তিতে আছি। ২০ বছরে মর্গেজ শেষ করার পর।
লুটেরা সাম্রাজ্যের পতন এখন গণতান্ত্রিক উন্নয়ন
লুটেরা চলে গেছে দেশ এখন ঘুরে দাঁড়াবে।
Amazing news for share holders..what a news..