রাজনীতি
নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে খালেদা জিয়া
প্রতিশোধ নয়, আসুন শান্তি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলি
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৭ আগস্ট ২০২৪, বুধবার, ২:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের সামনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখলেন। বললেন, ধ্বংস নয়, প্রতিশোধ নয়, প্রতিহিংসা নয়। আসুন ভালোবাসা, শান্তি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলি। একইসঙ্গে সকল ধর্ম, গোত্রের অধিকার নিশ্চিত করার কথাও বললেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শান্তি-প্রগতি আর সাম্যের ভিত্তিতে আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণে আসুন আমরা তরুণদের হাত শক্তিশালী করি।
বুধবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর আপনাদের সামনে কথা বলতে পারার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আমার কারাবন্দি অবস্থায়, আপনারা আমার কারামুক্তির জন্য সংগ্রাম ও রোগমুক্তির জন্য দোয়া করেছেন। সে জন্য আমি আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকারের কাছ থেকে মুক্তি পেয়েছি।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই, আমাদের বীর সন্তানদের। যারা মরনপণ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। শত শত শহীদদের জানাই শ্রদ্ধা। এই বিজয় আমাদের নতুন সম্ভবনা নিয়ে এসেছে।
বিএনপির আজকের সমাবেশ সময় উপযোগী এবং সঠিক সিদ্ধান্ত। নেতা কর্মী সমর্থক ও সবার জন্য একটি বার্তা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল।
আজ বিএনপির সমাবেশ জনগণের নিন্দাই কুড়িয়েছে। দলটি মনে হয় অস্থিরতায় ভুগছে। ধৈর্য ধরুন। কমপক্ষে এক বছর।
অনেক সুন্দর, গঠনমূলক এবং ঐক্যের কথা বলেছেন বেগম খালেদা জিয়া। তা সত্ত্বে ও কিছু কিছু লোকের কমেন্ট পড়ে এটা স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে স্বৈরাচারের পেতাত্মা এখনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে।
To BNP leaders - Don't try to rush; go slowly.
To BNP leaders - Don't try to rush; go slowly.
স্বৈরাচার উৎখাতে সবচেয়ে নির্যাতিত দল এই বিএনপি । তাদের চেয়ে বেশি কেউ ত্যাগ স্বীকার করেনি । খালেদা জিয়ার আজকের ভাষন নেতাকর্মীদের প্রতিহিংসা থেকে বিরত করবে । যারা সমালোচনা করে বিভেদ তৈরীর চেষ্টা করছে তারা হাসিনা বাহিনীর নতুন রুপ । ছাত্ররা এটা দেখেছে তাদের আন্দোলনে সবার আগে বিএনপি সংহতি ও সহযোগীতা করেছে ।
স্বৈরাচার উৎখাতে সবচেয়ে নির্যাতিত দল এই বিএনপি । তাদের চেয়ে বেশি কেউ ত্যাগ স্বীকার করেনি । খালেদা জিয়ার আজকের ভাষন নেতাকর্মীদের প্রতিহিংসা থেকে বিরত করবে । যারা সমালোচনা করে বিভেদ তৈরীর চেষ্টা করছে তারা হাসিনা বাহিনীর নতুন রুপ । ছাত্ররা এটা দেখেছে তাদের আন্দোলনে সবার আগে বিএনপি সংহতি ও সহযোগীতা করেছে ।
হাসিনার পতনে ছাত্রদের অবদান অনস্বীকার্য। যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছে তারা জাতির বীর সন্তান। অনেকে বলে এ আন্দোলনে ছাত্রসমাজ ছাড়া অন্য কারও অবদান নেই। এ ধারনা সম্পুর্ন ভুল। কারণ হাসিনা গত ২০-২৫ দিনে স্বৈরশাসকের উপাদি পায়নি। দীর্ঘ ১৫ বছরের সরকার বিরোধী ছাত্র ও জনগনের উপর অত্যাচার ও ভোটাধিকার হরণের জন্য হাসিনা স্বৈরশাসকের উপাদি পেয়েছে। আর এ আন্দোলন সফল হয়েছে ছাত্র ও প্রতিটি সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ জনগনের সমর্থনের কারণে। আর সমাবেশ করা সব রাজনৈতিক দলের নিজস্ব ব্যাপার। আর আমি মনে করি বিএনপির সমাবেশ করা ঠিক আছে কারণ জাতির এ মূহুর্তে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক তারেক রহমানের নিকট থেকে সঠিক দিক নির্দেশনামূলক বার্তার প্রয়োজন ছিল।
এই জয় ছাত্রদের জয় আর হেতেন রা মনে করছে এই হেতেনগো জয়।অথচ ছাত্ররা ট্রাফিক চালাচ্ছে।একদিন এই জাতি বুঝবে কি অর্জন করলো আর কি হারালো।
আমি মনে করি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের উচিত পরিস্কার করে ঘোষনা করা যে তাদের এই আন্দোলন আওয়ামী লীগকে সরিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানো নয়। তাদের মূল কিছু রাষ্ট্রের মেরামত , একটি সুষ্ঠু ও টেকসই নির্বাচনী ব্যবস্থা, পঁচা রাজনীতিকে বিতাড়ন করা। তারেক জিয়ার আস্ফালন বন্ধ করা জরুরি।
অনেকেই বলছেন,বিএনপির এই জনসভা করা উচিৎ হয়নি।আমি তাদের সাথে একমত নই।আমরা দেখতে পাচ্ছি নিন্ম শ্রেণির কিছু বিএনপির নেতাকর্মী কিছু কিছু জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।তাদেরকেসহ সব কর্মীদের সাবধান করার জন্য এই রকম একটা জনসভা করা জরুরি ছিল।এই কয়েকদিন বাদ দিলে গত ১৭ বছর সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত এবং নিহত হয়েছিল বিএনপির নেতাকর্মীরা।ছাত্র আন্দোলনে হাজার হাজার বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেছিল সরকার বিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো। তাই বিএনপির অবদানকে খাটো করে দেখা উচিৎ হবে না।তারপরও আমরা চাই বিএনপির চেয়ে ভালো কোনো দল নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসুক।
অসুস্থ নেত্রীর দলের সময়োপযোগী সমাবেশ একই সংগে নেত্রীর সময়োপযোগী বাণী!! নিশ্চিতভাবেই এটা বর্তমান আতংকিত সমাজকে সান্ত করবে ভরসা দিবে। কারন এমন একটি বৃহত দলের নেত্রী যখন সবাইকে প্রতিশোধ না নিতে উৎসাহিত করেন এবং সাম্যের ডাক দেন তখন তার প্রভাব সমস্ত রাস্ট্র ব্যবস্থায় পরে। ধন্যবাদ নেত্রী আপনাকে। তবে পরিত্যাক্ত শেখ হাসিনা পালালেও তার প্রেতাত্নারা যে এখনো সক্রীয় আছে খারাপ কিছু করতে এবং দেখতে সেটা এই কমেন্টগুলো পড়লেই পরিস্কার হয়ে যায়। তাদের জন্য শুধু একটাই নসিহত, তোমাদের আম্মাজান পালায়ছে তোমরাও পালাও। যারা সান্তি চায়না তাদের কোন ক্ষমা নাই।
এদের শিক্ষা হবে কবে। এদেরও লজ্জা নাই। এরাও দেশকে নয় ক্ষমতাকে ভালোবাসে। তবে মনে রেখ এদেশে সূর্যসেনাদের জন্ম হয়েছে। ভুল থেকে এরা কিছুই শিক্ষা নেয়নি। ভেবেছিলাম এরা অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েছে কিন্তু না, ওরা ওখানেই আছে।
The assembly should not have been held.
খালেদা জিয়ার কথা শোনার জন্য এই সমাবেশ দরকার ছিল। এতে পরিস্থিতি আরও ভাল হবে।
This is another poer hungry party. they forget and forsake when they are in power. they must not be in government. we need new style of democracy. new people honest dedicated,not hugry for power, selfless and most of all whatever they are going to do they will do for the people for the country.
সময়ের প্রয়োজনীয় কথা বলেছেন খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ।
সাম্প্রতিক বিপ্লবী ছাত্র জনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রক্তের দাগ এখনো রাস্তা থেকে মুছে যায়নি, ছাত্ররা ভর দুপুরে রোদের মাঝে পুলিশের অনুপস্থিতিতে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে, আর রাজনৈতিক দল তাদের সমাবেশে যাচ্ছে, মনে হয় ছাত্রদের দায়িত্বটাই বেশী, তারা গুলি খাবে, রক্ত দিবে, রাস্তার ময়লা পরিস্কার করবে, ট্রাফিকের দায়িত্ব নিবে, আগামী দিনের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে নিরপেক্ষ লোক খুজে বের করবে, আর আমরা অপেক্ষায় থাকবো -----
এতদিন বিএনপির সমাবেশ নিয়ে খুব উৎসাহ ছিল, এখন নেই, কারন সারাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তা পরিষ্কার করছে, ট্রাফিকের দ্বায়িত্ব পালন করছে সেখানে তারা মহাসমাবেশ করছে। দেশের এই ক্রান্তিকালে দেশ সেবা না করে সমাবেশের কোন মানেই হয় না।
BNP এর উচিত ছিলো সমাবেশটা আরো পরে করার
সমাবেশ করা উচিত হয়নি।
সমাবেশ করার আর সময় পেল না বিএনপি । দেশ এক চরম বিপদের মধ্যে আছে। তারা আছে তাদের সমাবেশ নিয়ে
People of Bangladesh needs to remember that AL, BNP and Jamat, they all failed this nation over the years. They should expect a free ride after the hardearned freedom.
এই সমাবেশটা আরো পরে করা উচিৎ ছিল। এতে বিএনপির জন্যই ভালো হতো।
যখন করার প্রয়োজন ছিল তখন করিনি। এখনো শহীদের রক্ত শুকায়নি। অনেকে হাসপাতাল কাতরাচ্ছে। তাদের পাশে না দাঁড়িয়ে তারা সমাবেশ করছে। এটা জাতির জন্য লজ্জার।
এতো তাড়াহুড়ার দরকার ছিলো কি? বিএনপির পলিটিকাল ম্যাচুরিটি কবে আসবে?
শেখ হাসিনা সরকারের পতনে বিএনপি জামাতের কারও অবদান নাই এর কৃতিত্ব, অবদান, ত্যাগ সব বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের, এবং সাধারণ জনগণের। গত ১৫ বছরের আন্দোলন করে যা করতে পারেনি মাত্র ২৩ দিনের আন্দোলন করে ছাত্র যুবারা তা দেখিয়ে দিয়েছে।
আজকের সমাবেশটা করা উচিত হয়নি। বরং অমানবিক মনে হচ্ছে। শহীদ পরিবার ও আহতদের খবর নেওয়া, দেশের নৈরাজ্য প্রতিকারে কাজ করার দরকার ছিলো আগে। বিএনপি’র নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে চিন্তা ও মানসিকতার পরিবর্তন না হলে, এই দলও আওয়ামিলীগের মতো ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হবে, হবেই। এই দলের মৌলিক পরিবর্তন হতে হবে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনে বিএনপি জামাতের কারও অবদান নাই এর কৃতিত্ব, অবদান, ত্যাগ সব বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের, এবং সাধারণ জনগণের। গত ১৫ বছরের আন্দোলন করে যা করতে পারেনি মাত্র ২৩ দিনের আন্দোলন করে ছাত্র যুবারা তা দেখিয়ে দিয়েছে।
দেশের বৃহত্তম দল হিসাবে নন মুসলিমদের বাড়ী-ঘর, মন্দির BNP নেতা কর্মীদের পাহারার কোন চিত্র আমরা দেখতে পেলাম না। সেখানে দেখা গেল মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র সহ অন্যদলের লোকজনকে। BNP সেন্ট্রাল লিডারদের কড়া দিক নির্দেশনার অভাব ছিল এবং মনিটরিং ব্যবস্থাও নেই। কোন এলাকায় এসকল ঘটনা বেশী হয়েছে? সে এলাকায় দায়িত্বশীলদের কোন দায়-দায়িত্ব ছিল না। হতাশ হলাম। শুধু ক্ষমতায় যাওয়া কি সবকিছু?
It is not a wise decision.
এই সমাবেশটা আরো পরে করা উচিৎ ছিল
বিএনপির এ মুহুর্তে সমাবেশ ঢাকা কতটুকু যুক্তিযুক্ত।
বিএনপি'র উচিত ধৈর্য ধরা, তাদের দলে অনেক আওয়ামীপন্থী ভারত পন্থী আছে দলের সংস্কার করা প্রয়োজন তারপর ক্ষমতা নিয়ে চিন্তা করতে হবে,