দেশ বিদেশ
নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের ঢল, বিজয়ের উল্লাস
স্টাফ রিপোর্টার
৭ আগস্ট ২০২৪, বুধবারনেতাকর্মীদের মুখে ছিল বিজয়ের স্লোগান। নামে নেতাকর্মীদের ঢল। স্লোগানে স্লোগানে নয়াপল্টন প্রকম্পিত করে তোলেন তারা। প্রায় দেড় যুগ ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি’র নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে বিজয় উল্লাস করেন। তাদের ভাষায়, দেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশের মানুষ মুক্ত হয়েছে। নেতাকর্মীদের পদচারণায় নতুনভাবে সরব হয়ে ওঠে প্রায়শই অবরুদ্ধ থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। দুপুরের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস নয়াপল্টনে যান। সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন বিএনপি’র কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। ঢাকার বাইরে থেকেও নেতাকর্মীদের আসতে দেখা গেছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের পদচারণায় সরগরম হয়ে ওঠে বিএনপি’র কার্যালয়। তারা এই পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটকে প্রাথমিক বিজয় হিসেবে দেখছেন। এই বিজয়ের হাত ধরেই নির্বাচনের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের প্রত্যাশা তাদের।
সরজমিন দেখা যায়, গতকাল সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জমায়েত হন। মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং কারও কারও হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা ছিল। সবার মুখে বিজয়ের স্লোগান। তাদের ভাষায়, দেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশের মানুষ মুক্ত হয়েছে। নেতাকর্মীদের পদচারণায় নতুনভাবে সরব হয়ে উঠেছে প্রায়শই অবরুদ্ধ থাকা বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়।
গাজীপুর থেকে আসা মাকসুদুর রহমান নামে বিএনপি’র এক কর্মীর সঙ্গে কথা মানবজমিনের। তিনি বলেন, স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশ মুক্ত ও স্বাধীন হয়েছে। গত ১৭ বছর ধরে এই ফ্যাসিবাদের কবল থেকে আমরা দেশকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করছি। গতকাল সেই মুক্তি আমরা পেয়েছি। সেজন্য আজ বিজয় উল্লাস করতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসেছি। ১৬ দিন তালাবদ্ধ থাকার পর ৫ই আগস্ট বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢোকেন দলটির নেতাকর্মীরা। এদিন বিকাল ৩টা ৫৩ মিনিটের দিকে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপনের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এর আগে গত ১৬ই জুলাই রাতে কার্যালয়ের ভেতরে ডিবি পুলিশ অভিযান চালানোর পর কার্যালয়ের ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। কার্যালয়টির প্রধান ফটকের সামনে ‘ক্রাইম সিন’ লেখা হলুদ ফিতাও ওই সময় টাঙিয়ে দেয়া হয়। পরে ১৯শে জুলাই ছাত্রদল ও যুবদলের কিছু নেতাকর্মী ওই তালা ভেঙে কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর ২০শে জুলাই মূল ফটকে তালা লাগানোর পর আর কেউ কার্যালয়ে যায়নি।