রাজনীতি
রিমান্ডে নিয়ে নেতাকর্মীদের পঙ্গু করে দেয়া হচ্ছে: জামায়াত
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ২৮ জুলাই ২০২৪, রবিবার, ৫:৩২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
আদালতের আদেশ অবজ্ঞা করে রিমান্ডে নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পঙ্গু করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম। রোববার এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এটিএম মা’ছুম বলেন, সরকার নিজেই আইনের কোনো তোয়াক্কা করছে না। উচ্চ আদালত ২০০৩ সালে রিমান্ডের বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সংবিধান অনুসারে সর্বোচ্চ আদালতের রায় বা নির্দেশনা প্রতিপালন করা সরকার, অধস্তন আদালত ও সকলের জন্য বাধ্যতামূলক। কিন্তু উচ্চ আদালতের এ নির্দেশনা সরকার সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করছে। আদালতের আদেশ অবজ্ঞা করে রিমান্ডে নিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদেরকে পঙ্গু করে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার অহরহ মিথ্যা কথা বলছে ও প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করছে। বলা হয়েছিল, কোনো ছাত্রকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না। সরকার এ প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে ছাত্রদেরকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে হয়রানি করছে। রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। ১৭ বছরের একজন কিশোরকে রিমান্ডে নেয়ার খবর জাতীয় পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। গত ১১ দিনে সারাদেশে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ ১০ সহস্রাধিক লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেককে বাড়িঘর থেকে তুলে নিয়ে গুম করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃতদের অনেককে রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি অফিসে নেয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকরা ডিবি অফিসে গ্রেপ্তারকৃতদের খোঁজ-খবর নিতে যান এবং ডিবি প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেন। ডিবি অফিসের অভ্যর্থনায় দায়িত্বপালনরত পুলিশের নিকট শিক্ষকরা নিজেদের পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ছাত্রদের অভিভাবক। ছাত্ররা কি অবস্থায় আছে আমরা জানার জন্য এসেছি।’ ডিবি কর্মকর্তা সম্মানিত শিক্ষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে বেরিয়ে যান। তার এ আচরণ চরমভাবে নিন্দনীয়।
তিনি বলেন, আমরা গণগ্রেপ্তার, গণনির্যাতন বন্ধ করে ও গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে এবং ছাত্রদের দাবিসমূহ মেনে নিয়ে কারফিউ প্রত্যাহার করে দেশে স্বস্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। হত্যাকারী এ ডামি সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার জন্য আমরা ছাত্র, শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, শ্রমিকসহ সকল শ্রেণিপেশা ও রাজনৈতিক দলসমূহের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
রাখে আল্লাহ মারে কে, মারে আল্লাহ রাখে কে? কপট বিশ্বাসী জাহান্নামী মুনাফিকদেরকে আল্লাহ ইহকালেও আযাবে রাখে।