দেশ বিদেশ
চরফ্যাশনে সিয়ামের পরিবারে শোকের মাতম
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
১৯ জুলাই ২০২৪, শুক্রবাররাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে হানিফ ফ্লাইওভারে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত সিয়ামের (১৫) বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সন্তানকে হারিয়ে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন স্বজনরা। পুরো বাড়ি স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে। নিহত সিয়ামের গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ওচমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে। সিয়াম ওচমানগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শ্রেণির ছাত্র ছিল। অভাবের কারণে আর পড়া হয়নি। বাধ্য হয়েই ঢাকায় গিয়ে কাজ শুরু করে। সে মাতুয়াইলে খালুর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতো। বৃহস্পতিবার বাড়িতে লাশ আসার পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। নিহত সিয়ামের খালাতো ভাই একই ইউনিয়নের হাসানগঞ্জ গ্রামের রাসেল জানান, গত ২৩শে জুন সিয়াম চরফ্যাশন থেকে কাজের জন্য ঢাকায় তার খালুর নিকট যায়। গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজারের নিকট খালুর মোবাইল ব্যাটারির দোকানের কাজ নেয়। তবে ভাগ্যের নির্মমতা তাকে মাত্র ২৫ দিনের মাথায় প্রাণ হারাতে হয়। সে আরও জানায়, ঘটনার দিন ১৭ই জুলাই রাতে দোকান গুছিয়ে বাসায ফেরার পথে হানিফ ফ্লাইওভারে সংঘর্ষ চলাকালে সে গুলিবিদ্ধ হয়। তবে কারা গুলি চালিয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, যাত্রাবাড়ী হানিফ ফ্লাইওভারে সংঘর্ষে এক যুবক গুলিবিদ্ধ অবস্থায জরুরি বিভাগের সামনে নিয়ে আসে। যারা নিয়ে এসেছিল তারা বুঝতে পারে ওই যুবক মারা গেছে। এজন্য তারা আর হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ না করে সিএনজিতে করে মরদেহ নিয়ে গেছে।
নিহত সিয়ামের মা আরজু বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলে ফোনে জানিয়েছিল ২ মাস পর ছুটিতে বাড়িতে আসবে। কিন্তু তার তো আর ফেরা হলো না। মর্মান্তিক এমন মৃত্যু শোকে স্তব্ধ পুরো পরিবার। এদিকে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিতে সিয়াম নিহতদের ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহত সিয়ামকে বৃহস্পতিবার দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।