দেশ বিদেশ
ইলন মাস্কের চোখের তলায় কালশিটে দাগ কে মারলো ঘুষি?
মানবজমিন ডিজিটাল
২ জুন ২০২৫, সোমবার চোখের কোণে গোল কালো কালশিটে দাগ নিয়ে হোয়াইট হাউসে উপস্থিত হয়েছিলেন টেসলার সিইও ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। কিন্তু কে ঘুষি মারলো? কার এতো সাহস? চোখের দাগ দেখে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হলেও মাস্ক নিজেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, আমি ছেলেকে মজা করে বলেছিলাম, ‘মুখে ঘুষি মারো।’ পাঁচ বছর বয়সী ছেলে ‘এক্স’ সত্যিই ঘুষি মারে, আর সেটাই চোখে দাগের কারণ। ট্রাম্প প্রশাসনের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (উঙএঊ)-র প্রধান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মাস্ক। চার মাসের মেয়াদ ছিল। সেই মেয়াদ ফুরিয়েছে। হোয়াইট হাউসে তাই ফেয়ারওয়েলের আয়োজন করেছিলেন ট্রাম্প। সেখানে এই চেহারাতেই হাজির হন পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। সবার কৌতূহল তুঙ্গে। ব্যাপারটা কী? সাংবাদিকরা আমতা আমতা করে প্রশ্নটা করেই ফেলেন, ‘আপনার চোখে একটা...’! ৫৩ বছর বয়সী মাস্ক বুঝে যান কোন দিক থেকে ‘আক্রমণ’ আসছে। মুচকি হেসে বলেন, ‘ছেলে ঘুষি মেরেছে।’ ধনকুবের বলেন, ‘লিল এক্স’-এর সঙ্গে মজা করতে করতে বলেছিলাম, আমাকে ঘুষি মারো। পাঁচ বছরের বাচ্চা আর কী বুঝবে, মেরেই দিলো। প্রথমে খুব একটা লাগেনি, এখন দেখছি কালশিটে পড়ে গিয়েছে।’
তার ও গায়িকা গ্রাইমসের ছেলে ‘এক্স’, হোয়াইট হাউসে প্রায়ই বাবার সঙ্গে আসতেন। ফেব্রুয়ারিতে মাস্কের ওভাল অফিসে প্রথম উপস্থিতির সময় ছেলেকে কাঁধে বসিয়েছিলেন তিনি। এদিকে নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় মাস্ক নিয়মিতভাবে মাদক সেবন করতেন। কেটামিন, এক্সট্যাসি এবং সাইকেডেলিক মাশরুমসহ বিভিন্ন মাদক সেবন করেছিলেন বলে দাবি করা হয় প্রতিবেদনে। বলা হয় যে, মাস্ক ২০টি ডোজের একটি ‘পিলবক্স’ বহন করতেন। এই মাদকসেবনের জেরে মাস্কের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। টাইমস জানিয়েছে যে, মাস্ক ঘনিষ্ঠদের কাছে গোপনে বলেছিলেন যে, তিনি এত ঘন ঘন কেটামিন ব্যবহার করছিলেন যে এটি তার মূত্রাশয়ের ওপর প্রভাব ফেলছিল। যদিও এ বিষয়ে মাস্ক কোনো মন্তব্য করেননি। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস