দেশ বিদেশ
বাজেট খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয় -ডিসিসিআই সভাপতি
স্টাফ রিপোর্টার
৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল ঘোষিত এই বাজেটের ওপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সংগঠনটি বলছে, ব্যবসা ও বিনিয়োগের অনুকূলে বাজেট খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ন্যূনতম করের সমন্বয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুমোদনযোগ্য বিয়োজনের আওতা বৃদ্ধি, করজাল সমপ্রসারণ এবং অটোমেটেড রিটার্ন ব্যবস্থা চালুর মতো ইতিবাচক পদক্ষেপ থাকা সত্ত্বেও বিনিয়োগ সমপ্রসারণ, সহজে ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ উন্নয়ন, সিএমএসএমই এবং ব্যাংকিং খাত সংস্কার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় সার্বিক ব্যবসা ও বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে ততটা সহায়ক নয়। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বেশ বড়, যা অর্জন বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। ব্যক্তি পর্যায়ের করের সীমা অপরিবর্তিত রাখা এবং স্ল্যাব উঠিয়ে নেয়ায় মধ্যবিত্ত ও বিশেষকরে চাকরিজীবীদের করের বোঝা আগামী অর্থবছর থেকে আরও বেশি বহন করতে হবে। সংগঠনটি মনে করে, অটোমোবাইল খাতে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানির ওপর শুল্ক ১০% থেকে বাড়িয়ে ২৫% বৃদ্ধি করায় এই খাতের স্থানীয় উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। এ ছাড়াও টার্নওভার কর ০.৬% থেকে বাড়িয়ে ১% করার সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনার দাবি করেন ডিসিসিআই সভাপতি। ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ কমলেও স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোন উৎপাদনে ভ্যাট বাড়ানোয় এ শিল্পের বিকাশ ব্যাহত হবে। বাজেটে মূল্যস্ফীতি হ্রাসে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালন ব্যয় বাড়বে, যা সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির গতিকে মন্থর করবে। ব্যাংক খাত থেকে ঋণ গ্রহণের খরচ ৬-৭% নামিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। এ ছাড়াও আর্থিক খাত থেকে সরকারের অধিক হারের ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা বেশি ধার্য করা হয়েছে, যার মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ হ্রাস হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। এসএমই খাতের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ এ বাজেটে পরিলক্ষিত হয়নি বলে ডিসিসিআই সভাপতি মত প্রকাশ করেন।