ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় ঢাবি সাদা দল

২০২৫ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনসহ তিন দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সাদা দল। তারা বলছেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত জাতীয় নির্বাচনই হতে পারে গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার একমাত্র পথ। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিন দাবি জানায় ঢাবি সাদা দল। এতে শিক্ষকরা বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ বর্তমানে বহুমুখী চাপ, হস্তক্ষেপ ও কৌশলগত আক্রমণের মুখে পড়েছে। আমরা ‘সাদা দল’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল দায়িত্বশীল ও সচেতন শিক্ষক আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং আমাদের জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ ঘিরে উদ্ভূত সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। বার্তায় বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং সাংবিধানিক ভারসাম্য আজ নানাভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বাংলাদেশ আজ এমন একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, যেখানে সঠিক সিদ্ধান্ত, ন্যায়সঙ্গত প্রশাসন এবং জনগণের প্রতি স্বচ্ছ দায়বদ্ধতাই কেবল আমাদের সামনে সঠিক পথ উন্মোচন করতে পারে। আমরা মনে করি- একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত জাতীয় নির্বাচনই হতে পারে গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার একমাত্র পথ। এই লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ন রাখা অপরিহার্য। রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে ন্যূনতম ঐকমত্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার পরিবেশ তৈরিতে নাগরিক সমাজের সক্রিয় ভূমিকা থাকা উচিত।
তাদের তিন দাবি- আগামী ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ে একটি সুস্পষ্ট ও সময়সীমা সম্পন্ন রোডম্যাপ প্রকাশ করতে হবে। এতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনী এলাকাসমূহ নির্ধারণ, পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রণয়ন এবং নির্বাচনী বিধিমালা সংস্কারের বিস্তারিত থাকতে হবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে বিতর্কিত এবং রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট উপদেষ্টাদের অপসারণ করতে হবে। পাশাপাশি, সর্বজনগ্রাহ্য ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিবর্গ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে, যারা জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ হুমকির মুখে ফেলে এমন কোনো চুক্তি বা সমঝোতা অন্য কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে করা যাবে না। যেকোনো আন্তর্জাতিক চুক্তির ক্ষেত্রে সংসদীয় পর্যালোচনা ও জনমতের প্রতিফলন থাকা জরুরি।