রাজনীতি
একদফার আন্দোলন জোরদারে নতুন কর্মসূচি দেয়া হবে: নজরুল
স্টাফ রিপোর্টার
(১১ মাস আগে) ১৪ জুলাই ২০২৪, রবিবার, ৮:২৫ অপরাহ্ন

সরকার পতনের একদফার আন্দোলন জোরদারে নতুন কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
রোববার বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যুগপৎ আন্দোলনের অন্যতম শরিক ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকে পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। বৈঠকে নজরুল ইসলাম খান ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বার বার আমরা দেখছি যে, সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে, সংকট বৃদ্ধি করা হচ্ছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। দেশে যে বিদ্যমান সংকট তৈরি হয়েছে, গণতন্ত্র হীনতার সংকট , দুর্নীতি-অনাচারে দেশ ছেয়ে গেছে এবং পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে যে, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারের নিযুক্ত ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা দুর্নীতি করে দেশটাকে ফোকলা করে দিচ্ছে। ব্যাংকগুলো শূন্য হয়ে যাচ্ছে, টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ হানিকর চুক্তি-সমঝোতা করা হচ্ছে। সীমান্ত মানুষ হত্যা হচ্ছে, অরক্ষিত থাকছে, নানা কারণে আমরা মনে করি যে, একদফার দাবিতে আমরা লড়াই শুরু করেছি- ওই একদফা বাস্তবায়ন ছাড়া সংকটের সমাধান হবে নাই। আর সেই একদফার যে লড়াই, সেই লড়াইকে এগিয়ে নিতে আমরা আগামীদিনে কর্মসূচি ঘোষণা করবো। ওই কর্মসূচি ঘোষণার প্রেক্ষিত হিসেবে আজকে আমাদের মধ্যে এই আলোচনা হয়েছে।
কোটা সংস্কার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, আপনারা জানেন যে, ছাত্রদের দাবি ছিলো কোটা সংস্কারের, কোটা বাতিল। সেই দাবি প্রতি বিএনপি সমর্থন জানিয়েছে। সেই ছাত্ররা এখন এই দাবিতেই আন্দোলন করছে। আপনারা দেখেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীরা শপথ গ্রহণ করেন তখন তাদেরকে বলতে হয় যে, কখনো অনুরাগ বা বিরাগে মুখোমুখি হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। কিন্তু আমরা দেখলাম যে, প্রকাশ্যে ঘোষণা করেই একটা বিরাগে বশবর্তী হয়ে ছাত্রদের কোটা সংস্কারের আন্দোলন করছিলেন আর প্রধানমন্ত্রী বলে দিলেন, কোটাই বাতিল হয়ে করে দিলাম। এটা কেউই যুক্তি সঙ্গত মনে করে না, মনে করে এটা বিরাগের বশবর্তী হয়ে এটা করা হয়েছে।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে বৈঠকে এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপার রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামি ঐক্যজোটের একাংশের মাওলানা আবদুল করিম, লেবার পার্টির একাংশের ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির একাংশের শামসুদ্দিন পারভেজ ও ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম উপস্থিত ছিলেন।