খেলা
‘মা, স্ত্রী-সন্তানদের রক্ষা করবে না ফুটবলাররা?’
স্পোর্টস ডেস্ক
(১০ মাস আগে) ১৩ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ২:৩২ অপরাহ্ন

কলম্বিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচের পর গ্যালারির দর্শকদের সঙ্গে মারামারি হয়। এ ঘটনায় তদন্ত করছে কনমবেল। সমালোচনার শিকার ফুটবলারদের পাশে দাঁড়ালেন উরুগুয়ে কোচ মার্সেলো বিয়েলসা। আজ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মা ও স্ত্রী-সন্তানদের রক্ষা করতেই ফুটবলারেরা হাতাহাতিতে জড়িয়েছে। উরুগুইয়ান ফুটবলারেরা পাশে পেয়েছে দেশের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকেও।
ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সকালের ম্যাচে দর্শকদের সঙ্গে ফুটবলারদের বিবাদের ঘটনাটি বুঝতে পারেননি বিয়েলসা। পুরো বিষয়টি জানার পর লাতিন আমেরিকান ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা কনমেবলের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিজ্ঞ কোচ। হেফারসন লের্মার একমাত্র গোলে কলম্বিয়া ফাইনালে যাওয়ার পর মারামারির ঘটনা ঘটে। মাঠেই দুই দলের ফুটবলার, টিম ম্যানেজমেন্ট সদস্যরা বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পর ডাগআউটের পাশের সিড়ি বেয়ে গ্যালারিতে উঠতে দেখা যায় উরুগুয়ের ফুটবলারদের। ওই পাশে তখন কলম্বিয়ার জার্সি পরা দর্শকই ছিল বেশি। পরে গ্যালারিতে দর্শকদের সঙ্গে হাতাহাতি, মারামারি লেগে যায় দারউইন নুনেস, হোসে মারিয়া হিমেনেসদের।
উরুগুয়ের অধিনায়ক হিমেনেস জানান, পরিবারের সদস্যদের রক্ষার জন্য এগিয়ে গিয়েছিলেন তারা। আর কনমেবলের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনের বিয়েলসা ক্ষোভ প্রকাশ করেন কনমেবলের প্রতি। নিজের ফুটবলারদের আগলে রেখে কনমেবলের ওপর আঙুল তোলেন ৬৮ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন কোচ, বলেন, “গ্যালারির দর্শকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কাদের, তা আপনারা জানেন। আপনাদের জিজ্ঞেস করা উচিত, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা ফুটবলারদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে কিনা। মা, স্ত্রী-সন্তানের ওপর আক্রমণ করা হলে এবং পালানো বা প্রতিরোধের পথ না থাকলে যে কোনো মানুষ যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাত, ফুটবলাররা সেটিই করেছে। তাদের কী করা উচিত ছিল? কেউই সহিংস প্রতিক্রিয়া দেখতে চায় না। কিন্তু কী কারণে সেটি হয়েছিল, তা দেখতে হবে।”
বিশদ বার্তায় পুরো ঘটনা তুলে ধরে উরুগুয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ঘটনাটি এমন একটি জায়গায় ঘটেছে, যেখানে উরুগুয়ের সমর্থক ছিল তুলনামূলক কম। এর বেশিরভাগই ছিল ফুটবলারদের পরিবার এবং সেখানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এসব কিছু মিলিয়ে ফুটবলারদের ওই আচরণ অনিবার্য এবং স্বাভাবিক ছিল। নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়েও প্রশ্ন তোলে তারা। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে উরুগুয়ের ক্রীড়ামন্ত্রী সেবাস্তিয়ান বাউহার শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, কয়েকজন ফুটবলার হয়তো দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পাবেন। ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “আমাদের কয়েকজন ফুটবলার নিশ্চিতভাবেই চলতি বছর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হবে। আশা করি যত কম ম্যাচ ও যত কম সম্ভব ফুটবলার শাস্তি পাক।”