প্রথম পাতা
‘বেনজীর ইস্যুতে’ জরুরি সচিব সভা আজ
বিশেষ প্রতিনিধি
৪ জুলাই ২০২৪, বৃহস্পতিবার
শুদ্ধাচার সুশাসনসহ ৫টি ইস্যুতে আজ সচিবদের বৈঠক বসছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। বৈঠকে সরকারের সব বিভাগের সচিবকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোনো বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ছাড়া প্রতিনিধি হিসেবে অন্য কোনো কর্মকর্তা ওই বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার নিয়ে আলোচনা হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে ডাকা সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সভাপতিত্ব করবেন। নতুন সরকার গঠনের পর এটি দ্বিতীয় সচিব সভা। সর্বশেষ গত ৫ই ফেব্রুয়ারি সচিব সভা হয়েছিল। ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। তখন যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেগুলো বাস্তবায়ন পর্যালোচনা হবে আজকের সভায়। সাধারণত সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকেন। তবে আজকের বৈঠকে তার উপস্থিত থাকার কোনো সূচি নেই।
কয়েক মাসের মাথায় ডাকা আজকের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বেনজীর আহমেদের মতো দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিষয়ে। ক্ষমতা দেখিয়ে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন করা সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ কীভাবে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছিলেন তার পর্যালোচনাও হবে বৈঠকে। এছাড়া সামনের দিনে বেনজীর আহমেদের মতো কোনো কর্মকর্তা যাতে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত না হন সেদিকে খেয়াল রাখতে নির্দেশনা দেয়া হবে বৈঠক থেকে। এছাড়া বেনজীর আহমেদকে দেয়া পুরস্কারের বিষয়ে করণীয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে। সততা ও কর্মনিষ্ঠার জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার পাওয়া বেনজীর আহমেদের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য প্রকাশের পর তার শুদ্ধাচার পুরস্কারটি ফিরিয়ে নেয়ারও দাবি করছেন কেউ কেউ।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র যখন বেনজীর আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, এর সাড়ে ছয় মাস পর সরকার তাকে ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার’ দেয়। ২০২২ সালে তিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। শুদ্ধাচার পুরস্কার গ্রহণের কয়েক মাস পরই অবসরোত্তর ছুটিতে যান বেনজীর আহমেদ। এই পুরস্কার প্রাপ্তির দুই বছরের মাথায় তার অবৈধভাবে অর্জন করা বিপুল সম্পত্তির তথ্য প্রকাশ পায়। এসব তথ্য নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান শুরু এবং আদালতের মাধ্যমে সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ আসার আগেই সপরিবারে দেশ ছেড়ে যান পুলিশের সাবেক এই আইজি।
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভা ২০১২ সালে ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’- চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করেছিল। এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয় ২০১৭ সালে। এরপর থেকে সততার মানদণ্ডে ‘শুদ্ধ’ থাকা সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতিবছর এই পুরস্কার দেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকে বেনজীর ইস্যুসহ এ সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেয়া হবে। এছাড়া কর্মকর্তাদের শুদ্ধাচার পরিপালনের বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে।
পাঠকের মতামত
Suddachar person not only does the right thing for other people but also follows the laws of the religion. Benozir's activities were completely contradictory of the aforesaid norms. It's a great shame for the nation.
Thief of Bagdad
মুচাবীন শমসের বৈধ উপায়ে টাকা উপার্জন করে ও তাকে কি না করেছিল ।এখন মুক্তবাক করলেই তো বাসায় কে চলে আসে বলা যায়না। যে দেশে দুরনীতি দমনের জন্যই দুদক অথচ সেখানেই অবাদে দুর্নীতি । সুতরাং আমরা যেহেতু বলির পাঠা হয়েই গেছি যারা দুর্নীতি করে বেচে থাকতে চায় তাদের সুযোগ দিন। প্রয়োজনে প্রতিবছর বাজেটের সময় ১৫ ভাগ কর দিয়ে টাকা ও চরিএ ২ টাই এক সাথে সাদা করে দিবেন । দয়া করে কবরের চিন্তা মাথায় রেখে কাজ করুন ।
সচিবরা ভুতমুক্ত হতে না পারলে বেনজিরদের ভুতমুক্ত করা যাবেনা।
আজকের সভার প্রধানের ..........
পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় আমরা একজন বেনজির সম্পর্কে জানতে পারলাম। আর প্রতিদিন অসংখ্য বেনজিরকে আমরা সরকারি অফিসে দেখি। তাদেরও দাপটে সাধারন জনগন অতিষ্ট । দেশের সুনাগরিক গণ তাদের সন্তানদেরকে এখন আর এদেশে নিরাপদ ভাবেন না। দয়া করে এবিষয়ে মতামত দিন জাতে করে জনমত গড়ে উঠে এবং অসৎ কর্মচারী গণ ক্রমশ সতর্ক হয়
মনে পড়ে জেলা প্রশাসকদের সভায় শুদ্ধচারিতার যথাযথ প্রয়োগের বিরুদ্ধে কতেক জেলা প্রশাসকের সদর্প দ্বিমত পোষণের মুখে নসীহতকারি কতৃপক্ষের পিছু হটার ঘটনা। এই আমলা শিরোমনি সন্মাননীয় সচিবগণও যদি সমমর্যাদার দূর্নীতিতে আকীর্ন সাবেকদের প্রতি নূন্যতম সহানুভূতি দেখান তখন দূর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত শূণ্য সহনশীলতা মাঠে মারা পড়বে। আশংকা এখানেই।
আগে কি শুদ্ধাচারের পুরস্কার দেয়ার কোন নীতিমালা ছিলনা?তাহলে নতুন করে নির্দেশনা কেন? বনজিরের পুরষ্কারে কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্হা নিলে ভবিষ্যতে কিছুটা হলও কাজে আসবে।
বেনজীর সাহেব অনারারি ডক্টরেট পেয়েছিলেন সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য। যতক্ষণ সাংবাদিক গণ তার দুর্নীতির উদ্ঘাটন করে নি ততদিন, ফেরেস্তা ছিলেন। এখনও পুরস্কার দেওয়ার পর দেখা যাবে অবৈধ সম্পদের মালিক পুরস্কার পাওয়া অফিসার। আজকের এই সভার আয়োজন খরচ ও অপচয় হবে । কারণ সৎ মানুষের বড় অভাব বাংলাদেশে। জাতির পিতার উক্তি শিরোধার্য - আমি দেশ স্বাধীন করে পেয়েছি চোরের খনি । মনে কত বড় ক্ষোভ নিয়ে কথাটি বলেছিলেন। মাঝে মাঝে ভাবি ।
শুদ্ধাচার পুরস্কার একটি ভাল পরিকল্পনা ছিল , কিন্তু বেনজির আহ্মেদের মত লোককে এই পুরস্কার দেয়ায় এর গ্রহন যোগ্যতা একেবারে ধুলায় মিশে গেছে ।