ঢাকা, ১ জুলাই ২০২৪, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪ জিলহজ্জ ১৪৪৫ হিঃ

অর্থ-বাণিজ্য

সেরা করদাতা কাউছ মিয়ার মৃত্যুতে এনবিআরের শোক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

(৪ দিন আগে) ২৬ জুন ২০২৪, বুধবার, ৫:৪১ অপরাহ্ন

ব্যবসায়ী মো. কাউছ মিয়ার মৃত্যুতে শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। বুধবার এক শোকবার্তায় এনবিআর চেয়ারম্যান কাউছ মিয়ার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

কাউছ মিয়া ‘হাকীমপুরী’ নামে পরিচিত একটি জর্দা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন। তবে এ পরিচয় ছাপিয়ে তাকে সবাই চিনতো দেশের একজন শীর্ষ করদাতা হিসেবে। প্রতিবছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সেরা করদাতা পুরস্কারের যে তালিকা তৈরি করতো সেখানে কাউছ মিয়ার নাম থাকতো সবার উপরে। যদিও ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি কখনও শীর্ষ অবস্থানে ছিলেন না। তবুও দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীকে পেছনে ফেলে তিনিই হতেন সেরা করদাতা।

মঙ্গলবার রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে মারা গেছেন এই ব্যবসায়ী। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি স্ত্রী, আট ছেলে ও আট মেয়ে রেখে গেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর ফাঁকির মহোৎসবের এই দেশে তিনি ছিলেন ব্যতিক্রমী মানুষ। সরকারকে কর দেয়াই ছিল তার নেশা।

বিজ্ঞাপন
এ কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে তার মর্যাদা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শোক বার্তায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেছেন, কাউছ মিয়া ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। হাকিমপুরী জর্দার স্বত্বাধিকারী এই ব্যবসায়ী তার জীবদ্দশায় ২০১০-২০১১ করবর্ষ থেকে নিয়মিত সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়ে আসছেন। গত করবর্ষেও ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে তিনি সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তাকে মুজিববর্ষের সেরা করদাতা সম্মাননা দেয়া হয়েছিল।

২০২২-২৩ করবর্ষে ‘সম্মানিত সেরা করদাতা’ হিসেবে কাউছ মিয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত সেরা করদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে অসুস্থ থাকার পরেও হইল চেয়ারে এসে সেরা করদাতার সম্মাননার ক্রেস্ট ও সম্মাননা গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে একজন শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে পুরান ঢাকার এই বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর অবদান অপরিসীম।’

এনবিআর চেয়ারম্যান কাউছ মিয়ার রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে তার বিশেষ অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, ‘কাউছ মিয়া বলতেন, আমি দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেম থেকে কর দেই, আইনি বাধ্যবাধকতা থেকে নয়। তার এই কথা কর প্রদানের ক্ষেত্রে দেশের সচেতন নাগরিক ও সম্মানিত করদাতাদের উৎসাহিত এবং উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি রাজস্ব আহরণের কাজে নিয়োজিত রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষভাবে অনুপ্রেরণা যোগাবে।’

মাত্র ৮০ টাকার পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা কাউছ মিয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সৎভাবে ব্যবসা করেও এই দেশে শীর্ষ করদাতা হওয়া সম্ভব। কর দেয়া যে গৌরবের, সেটি তিনি প্রমাণও করেছেন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি শীর্ষ করদাতার তালিকায় নাম লেখিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এর আগে ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সরকারও তাকে শীর্ষ করদাতা হিসেবে পুরস্কার দিয়েছিল। ১৯৫৮ সাল থেকেই তিনি তৎকালীন সরকারকে কর দিয়ে যাচ্ছেন।

অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status