বাংলারজমিন
কলাপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গায়েব করার হুমকি, থানায় ডায়েরি
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবারপটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। রোববার কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত এ বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট শামিম আল সাইফুল সোহাগ ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে গায়েব করার হুমকি দিলে তার বিরুদ্ধে এ ডায়েরি করা হয়।
সাধারণ ডায়েরিতে জানা যায়, সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদারের ঘোড়া প্রতীকের কর্মী হয়ে কাজ করেন ধুলাসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম। এতে পরাজিত হয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম আল সাইফুল সোহাগ তার ওপর ক্ষুব্ধ হন। ২১শে জুন শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বাবলাতলা বাজারের নিউ সাউথ বাংলা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে নাস্তা খেতে আসলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও তার কর্মীরা তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ, এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারে এবং জামাকাপড় ধরে টেনে হিঁচড়ে বোতাম ছিঁড়ে ফেলে। তার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা চলে যায়। যাওয়ার সময় হুমকি দেয় যে, সুবিধা মতো পেলে তাকে গায়েব করে ফেলবে। একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল-হাজত খাটাবে।
এডভোকেট শামিম আল সাইফুল সোহাগ বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন একটি ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন রফিকুল ইসলাম। ২১শে জুন বাবলাতলা বাজারে দেখা হলে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি আমার সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন। আমি তার সঙ্গে কোনো রকম খারাপ ব্যবহার করিনি। আমার বিরুদ্ধে যা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুলের দায়েরকৃত জিডি তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা হাতে পেলে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হবে।’