মালয়েশিয়ায় ঈদ-উল-আজহা উদযাপিত

নামাজ, কোলাকুলি, কুশল বিনিময়, কুরবানী, খাওয়া-দাওয়া ও ঘোরা-ফেরার মধ্যে দিয়ে মালয়েশিয়ায় পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উদযাপিত হয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবস্থিত জাতীয় মসজিদ, মসজিদ নেগারায় ঈদুল আজহার সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দাতুক শ্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, দেশটির সেক্রেটারিয়েট রাজধানী পুত্রাজায়ার মসজিদ পুত্রায় বিশ হাজারেরও বেশি মুসল্লিদের সাথে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন।

দেশটির অনলাইন মালয় মেইল জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হালকা নীল মালয় পোশাক পরে সকাল ৭.৫২ মিনিটে তার স্ত্রী দাতুক শ্রী ডক্টর ওয়ান আজিজাহ ওয়ান ইসমাইলের সঙ্গে মসজিদে পৌঁছালে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ধর্ম বিষয়ক উপমন্ত্রী ডঃ জুলকিফলি হাসান তাকে অভ্যর্থনা জানান।

আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে মসজিদে পুত্রার গ্র্যান্ড ইমাম সালাহউদ্দিন গাজালির নেতৃত্বে ঈদের নামাজ আদায়ের আগে আনোয়ার ইব্রাহিমও জামাতের সাথে তাকবির পাঠ করেন। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতের আগে ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের প্রতি আরো যত্নশীল মনোভাব বাড়ানোর কথা বলেছেন ইমাম সালাহউদ্দিন গাজালি। যাওয়ার আগে, আনোয়ার ইব্রাহিম খুবই আন্তরিক সময় কাটান এবং জামাতে উপস্থিত মুসল্লিদের সাথে করমর্দন করেন।

এছাড়া নামাজ শেষে আজ থেকে মালয়েশিয়া জুড়ে মুরগির ডিমের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।

মালয়েশিয়ার নাগরিকদের পাশাপাশি দেশটির মসজিদগুলোতে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। রাজধানী কুয়ালালামপুর ছাড়াও মালয়েশিয়ার বিভিন্ন শহর ও রাজ্যে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। হাংতুয়া, মসজিদ আল বোখারি, মসজিদ জামেক, তিতিওয়াংসা বায়তুল মোকাররাম, কোতারায়া বাংলা মসজিদ, ছুবাংজায়া বাংলা মসজিদ, ক্লাং, পেনাং, চুঙ্গাই বুলোহ, সেলায়ং পাছার পুচং, মালাক্কা, জহোরবারুতেও ঈদের নামাজ আদায় করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। নামাজ শেষে তারা পশু কোরবানি করেন।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এছাড়া ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সুশীল কমিউনিটির নেতারাও প্রবাসীদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।